লাদাখে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে নতুন রাস্তা তৈরি করছে চিন, প্রকাশ্যে ছবি

প্যাংগং লেকের দক্ষিণে রাস্তা তৈরি করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। চিনা দাবির বাইরেও যে আরও একটি নতুন রাস্তা তৈরির প্রমাণ মিলেছে, তাতে চিন্তা বেড়েছে ভারতের।

চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা সম্প্রতি কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, স্প্যাংগুর লেকের দক্ষিণে শারীরিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় পিএলএ কমান্ডোরা বড় আকারে জমায়েত করছে।

সিনহুয়া সংবাদ সংস্থার এই ছবি পূর্ব লাদাখকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রস্থল করে তুলেছে। বিশেষত প্যাংগং লেক ও স্প্যাংগুর টুসো এর দক্ষিণের অংশ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে চিনা বাহিনী স্প্যাংগুর টুসো এর নিকটবর্তী মাটুং ন্যতাংসু পাহাড়ের আশেপাশে একটি পাহাড়ি রাস্তা নির্মানের কাজ করছে।

প্যানগং লেকের পূর্ব দিকের শহর রুটোক থেকে আসা মূল রাস্তা এস৩০১ এর সঙ্গে ৫ মিটার চওড়া একটি রাস্তাকে যুক্ত করছে। এই রাস্তাটি ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ অবধি ছিল নির্মীয়মাণ। তখনও প্রায় ২০০ মিটারের কাজ করা বাকি ছিল চিনা বাহিনীর।

আরও পড়ুন – পিফিজার বায়োএনটেক ভ্যাকসিনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, দেখা গেল অ্যালার্জির উপসর্গ

এই নতুন রাস্তাটি প্যাংগং হ্রদের পুরো দক্ষিণ উপকূলকে নিজেদের দখলে রাখতে চিনা বাহিনীকে যথেষ্ট সহায়তা করবে। অন্যদিকে ফিঙ্গার ফোর এর পূর্ব দিকের প্যাংগং ঝিলের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত পাহাড়ের চূড়ায় আগেই কব্জা করেছে চিনা বাহিনী।

স্প্যাঙ্গুর লেকের সামান্য উপরেও দেখা গিয়েছে চিনা বাহিনীর কিছু তাঁবু। এছাড়া স্প্যাঙ্গুর লেক ও প্যানগং লেকের মধ্যবর্তী অঞ্চলেও পিএলএ বাহিনীর তাঁবু দেখা গিয়েছে।

উল্লেখ্য কদিন আগেই উপগ্রহ চিত্রতে দেখা গিয়েছে প্যাংগং লেক জিুড়ে দাপট রয়েছে ভারতীয় সেনার। একই ছবি দেখা গিয়েছে স্পানগার টিসোতেও। ট্যুইটারে নিজেদের অফিশিয়াল পেজে এই ছবি দিয়েছিল “d-atis”। এরপরেই সামনে এল চিনা বাহিনীর রাস্তা বানানোর ছবি।

অন্যদিকে ১৮ই ডিসেম্বর যে বিদেশমন্ত্রক স্তরের বৈঠক হয় দুই দেশের মধ্যে, সেখানে সীমান্তে থেকে সেনা সরাবার বিষয়ে পূর্ণ সম্মতি দেয় ভারত ও চিন। কিন্তু চিন সেই কথা রাখেনি। ফলে পিছু হঠেনি ভারতও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.