চাঞ্চল্যকর অভিযোগ চিনের স্থানীয় সংবাদ পত্রে। একদিন আগেই বিশ্বের সামনে আসা একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে বিশ্বের সামনে করোনা ভাইরাসে মৃতের যে সংখ্যা বেজিং দাবি করছে তা সর্বৈব মিথ্যে। যদিও এব্যাপারে মুখে কুলুপ চিনের। তবে অসত্য হলে তা যে বিরোধীতা করবে সে কথা হলফ করে বলা যায়। রিপোর্টে উল্লেখ এই নভেল ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা চিনে ২৫হাজার। আর আক্রান্ত ১৫০০০০প্রায়। এই খবরের সীলমোহর পড়ল স্থানীয় চৈনিক সংবাদ পত্রে বেরোনো খবরে ।
চিনের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম পিপলস আদালতে চিন নাকি দরবার করেছে যে এই করোনা ভাইরাস কোনোভাবেই তাদের পক্ষে আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই তারা দেশের যে ২০হাজার মানুষ আক্রান্ত তাদের নাকি মেরে ফেলার অনুমতি চেয়েছেন ।
এর কারণ হিসেবে চিনের শাসকদের বক্তব্য এই রোগীদের যারা চিকিৎসা করছেন,সেই রকম স্বাস্থ্য কর্মীর অন্তত ২০জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি যে চিকিৎসক প্রথম এ করোনা ভাইরাস যে মহামারী আকার নেবে ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন তার মৃত্যু হয়। এরপরই টনক নড়ে চিনের। যদিও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের মুখে পড়েছে এর জন্য চিন ।
কারণ সংগঠনের মতে চিন আদালতের অনুমতির আগেই অনেক করোনা আক্রান্ত রোগীকে মেরে ফেলেছে বলে মনে করেন তারা। তাই সংগঠনের শ্যেন দৃষ্টি রয়েছে চিনের উপর। এই ভাইরাস বাহিত রোগের বাড়বাড়ন্তের জন্য চিনকেই দায়ী করেছে এই সংগঠন। কিন্তু চিনের মতে গোটা রাষ্ট্রের মানুষের জন্য গুটিকয়েক মানুষের আত্মবলিদান খুব ই জরুরি। তাই তারা এই অনুমতি চেয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এক বিলিয়ন আর্থিক অনুদান পেলে তবে এ বিপর্যয় সামাল দিতে পারবে। প্রসঙ্গত চিন পেরিয়ে বিশ্বের প্রায় ২৩টি দেশে এই ভাইরাস বাহিত রোগ পৌঁছেছে ।