চিনের (China) ‘মডার্ন উইপনারি” পত্রিকার বরিষ্ঠ সংপাদক হুয়ান গুওই একটি আর্টিকেলে ভারতকে (India) বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বিনাশকারী সেনা বলে উল্লেখ্য করেন। উনি লেখেন, ‘বর্তমানে মালভূমি আর পর্বতীয় সেনার মামলায় বিশ্বের সবথেকে অভিজ্ঞ দেশ আমেরিকা, রাশিয়া অথবা ইউরোপের কোন পাওয়ার হাউস না। তাদের পরিবর্তে সবার সামনে উঠে এসেছে ভারতের নাম।” আপনাদের জানিয়ে দিই, ওই পত্রিকা সরকারের অধীনে থাকা চাইনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেড (NORINCO) এর সাথে জড়িত। ওই পত্রিকাকে সৈন্য আর প্রতিরক্ষা জার্নাল হিসেবেও মানা হয়।
এই আর্টিকেল পাহাড়ি এলাকা লাদাখে বাস্তবিক নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LAC) ভারত আর চিনের সেনার মধ্যে হওয়া বিবাদের পর সামনে এসেছে। এই বিবাদ গত মাসে শুরু হয়েছিল, আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য দুই দেশের সেনাই তৎপর হয়েছে। কূটনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে কথাবার্তার মাধ্যমেই এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে দুই দেশই। দ্য পেপার ডট সিএন (thepaper.cn) এ প্রকাশিত হওয়া এই আর্টিকেল চিনের মিডিয়ায় ভারতীয় সেনার সকারত্মক আলোচনার একটি দুর্লভ উদাহরণ।
হিন্দুস্তান টাইমস এর রিপোর্ট অনুযায়ী, হুয়ান গুওই লিখেছেন যে ‘ভারতীয় সেনার পাহাড়ি দলের মধ্যে সমস্ত সদস্যদের পাহাড় চড়া জানা অনিবার্য। আর এই কারণে ভারত প্রচুর পরিমাণে পেশাদার এবং পাহাড়ে চড়ার শখ রাখা পর্বতারোহীদের ভর্তি করেছে।” উনি লেখেন, ১২ টি খণ্ডে দুই লক্ষের বেশি সেনা জওয়ানদের সাথে ভারতের পর্বতীয় সেনা বিশ্বের সবথেকে বড় পাহাড়ি যুদ্ধ দল।”
উনি লেখেন, ১৯৭০ এর দশকে ভারতীয় সেনা প্রচুর পরিমাণে পর্বতীয় জওয়ানদের সংখ্যা বাড়ায়। ভারত ৫০ হাজার জওয়ানকে নিয়ে একটি মাউন্ট স্ট্রাইক ফোর্স বানানোর পরিকল্পনা বানাচ্ছে। সিয়াচেন গ্লেশিয়ারের উদাহরণ দিয়ে উনি লেখেন, ভারতীয় সেনা সিয়াচেন ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায় প্রচুর পরিমাণে সেনা ছাউনি তৈরি করে নিয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ছয় থেকে সাত হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন আছে।
হুয়ান গুওই লেখেন, ভারতীয় সেনা আমেরিকার থেকে আধুনিক হাতিয়ার কেনার জন্য অনেক টাকা খরচ করছে। আর সেই হাতিয়ারের মধ্যে বিশ্বের সবথেকে হালকা ১৫৫ এমএম ক্ষুদ্র কামানবিশেষ এম১৭৭ আর চিনুকের মতো হেলিকপ্টার আছে। চিনুকের মাধ্যমে ভারতীয় সেনা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সহজেই বড়বড় হাতিয়ার নিয়ে যেতে পারে।