মহাবিপর্যয়! তাসমানিয়ার বালির চরে আটকে মৃত ৩৮০টি তিমি

২০২০ সালে একের পর এক বিপর্যয়। মহামারীতে গণমৃত্যু দেখেছে। এবার আরও এক বিপর্যয়। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া (Tasmania) দ্বীপের বালির চরে আটকে পড়ে অন্তত ৩৮০টি তিমির (Whale) মৃত্যু হয়েছে। মাত্র কয়েক ডজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানীরা। এভাবে গণহারে বালির চরে আটকে তিমির মৃত্যু আগে কখনও হয়নি।

তাসমানিয়ার ‘পার্কস্‌ অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিস’-এর ম্যানেজার নিক ডেকা জানান, “৪৬০টি তিমির গোটা দলটাই ম্যাকোয়্যার হেডস্‌ অংশের অগভীর অংশে আটকে গিয়েছে। বালি-কাদার থকথকে চরায় মাঝেমাঝেই আটকে যায় তিমি বা ওই জাতীয় ভারী চেহারার বড় সামুদ্রিক প্রাণী। কিন্তু এবার সংখ্যাটা অস্বাভাবিক রকমের বেশি। গত ১০ বছরে এতগুলি তিমিকে একসঙ্গে আটকে পড়তে দেখিনি আমরা। অন্তত ৩৮০টি তিমি মারা গিয়েছে। আমরা ৫০টিকে উদ্ধার করতে পেরেছি। এখনও ৩০টির মতো তিমি আটকে রয়েছে, বেঁচে। কাজটা প্রচণ্ড কঠিন।” জীববিজ্ঞানী, অভিজ্ঞ স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় মৎস্যজীবীদের ৬০ জনের দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। প্রায় দশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কাজ চলছে

তিমিরা সাধারণত দলনেতাদের পিছন পিছন ঝাঁক বেঁধে যে কোনও জায়গায় যায়। সেই কারণে কোথাও বিপদ এলে দলনেতারা অর্থাৎ পাইলট তিমিরাই আগে আক্রান্ত হয়। বাকি তিমিরা কিন্তু নেতাদের ফেলে রেখে চলে যায় না। দল বেঁধেই থাকে তারে। সেই কারণেই এখানেও সমস্ত তিমিই যে বিপদে পড়ে আটকে রয়েছে, তা নয়। স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের কারণেই তারা নিজেদের সরিয়ে নিয়ে যায়নি দল থেকে। এর আগে ২০০৯ সালে শেষবার এত সংখ্যক তিমিকে আটকে পড়তে দেখা গিয়েছিল তাসমানিয়ার বালির চরে। সেবার প্রায় ২০০ তিমি আটকেছিল। ২০১৮ সালে ১০০টিরও বেশি পাইলট তিমি মারা গিয়েছিল। সামুদ্রিক ডলফিন প্রজাতির এই পাইলট তিমিরা সাধারণত লম্বায় সাত মিটার। তবে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে এই ঘটনা স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছে স্থানীয় পরিবেশ দপ্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.