ইন্দো-বাংলা আন্তর্জাতিক সীমান্তের পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সম্প্রতি বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে। সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চাইছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে সীমান্তের বেড়ার সারিতে থাকা আটটি ফাঁক গত বছর সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ফাঁকগুলি ছিল। তাছাড়া তারা লোহার গেট বসিয়ে মোট ৪৪টি ড্রেন ও কালভার্ট বন্ধ করে দিয়েছে সীমান্তে।
ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারে বিএসএফের মহাপরিদর্শক সুশান্ত কুমার নাথ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সীমান্তে বেড়ার কাজ শেষ করার জন্য আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। ২৪টি স্থানে স্মার্ট নজরদারি সিস্টেম স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে স্থানগুলি চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশ-প্রবণ এলাকা, সেখানেই এই সিস্টেম বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যকার মোট ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তের মধ্যে কিছু অংশে এখনও বেড়া দেওয়া হয়নি। তবে অনেক জায়গাতেই সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে মানুষ বসবাস করে। তাই চোরাচালান বা অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে বেশিরভাগ বেড়াহীন সীমান্ত এলাকায় বেড়ার শারি নির্মাণ করা হবে বলে জানাচ্ছেন বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, গত বছর অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য ৯৭ বাংলাদেশী নাগরিক, ১১৮ ভারতীয় এবং আরও ছয় বিদেশী নাগরিক সহ মোট ২২১ জনকে আটক করে বিএসএফ। এছাড়াও বিএসএফ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, ফেনসিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৩৫.৬৪ কোটি মূল্যের গবাদি পশু বাজেয়াপ্ত করেছে সীমান্ত থেকে। রিপোর্ট অনুসারে, ২০২০ সালে মোট ১৩১ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছিল। তার আগে ২০১৯ সালে ধৃত অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ছিল ২৩৬।