একদিনে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা বিশ্বে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৮৩ হাজার মানুষ। যা একদিনে আক্রান্তের নিরিখে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। মার্চ, এপ্রিল মাসে যখন ইউরোপ এবং আমেরিকা এবং চিনে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছেছিল, তখনও একদিনে এত বেশি মানুষ আক্রান্ত হননি।
রবিবার WHO’র দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের সংখ্যায় রেকর্ড বৃদ্ধির ফলে বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ব্রাজিলে। সেদেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৭১ জন। দ্বিতীয় স্থানে আমেরিকা। মার্কিন মুলুকে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৬১৬ জন। একদিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির নিরিখে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে ভারত। এদেশেও আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। WHO’র পরিসংখ্যান বলছে, ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৩ জনের। ফলে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬১ হাজার পেরিয়েছে। আশঙ্কার কথা হল, এই নতুন সংক্রমণ এবং মৃত্যুর দুই তৃতীয়াংশই আসছে দুই আমেরিকা মহাদেশ থেকে। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের। বিশ্বে দ্বিতীয়বার করোনা সংক্রমণের ‘বিস্ফোরণ’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে WHO।
সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকে ল্যাটিন আমেরিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার করোনা সংক্রমণের গতি নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। তিনি বলেন,” এই ভাইরাসটি এখনও দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। এটা আগের মতোই মারাত্মক। বেশিরভাগ মানুষের এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। গোটা বিশ্ব এখন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল ল্যাটিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁর কথায়, ল্যাটিন আমেরিকা থেকেই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের খবর আসছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতেও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যেও ভাইরাসটি দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। যা ভয়াবহ পরিস্থিতির ইঙ্গিত। ঘেব্রিয়েসুস সেদিন যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সেটাই সত্যি হচ্ছে।