ওড়িশার (Orissa) বিস্তীর্ণ এলাকায়, কমপক্ষে ১২ টি জেলায় ইতিমধ্যেই আমফানের (Amphan) জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এবার হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী আমফানের টার্গেটে রয়েছে বাংলাও।
আইএমডি জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে ওডিশার পারাদ্বীপ থেকে ১১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে এটি । ১২৫০ কিলোমিটার দিঘার দক্ষিণে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে নিম্নচাপ।
এরপরের ধাপে ১৭ তারিখ থেকে ঘূর্ণিঝড় ক্রমে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। এরপরেই ঘটবে সেটি বাক নেবে উত্তর – উত্তর – পূর্ব দিকে। ধাবমান হবে উত্তর – পশ্চিম বঙ্গোপসাগর অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের উপর দিয়ে। এই পুরো ঘটনা ঘটবে ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে।
অর্থাৎ ১৮ তারিখের পরেই বাংলায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আমফানের। ১৯ মে থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮৫-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। বুধবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসকদের এই মর্মে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রাথমিক পূর্বাভাস পেয়েই সতর্ক হচ্ছে রাজ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, মৌসুনি দ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপের বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধের পাশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। মাইকেও প্রচার করা হবে।
তৈরি রাখা হচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। সুন্দরবনের প্রতি ব্লকে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনী জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা সামুদ্রিক অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কার্যের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। একটি বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছে, রাজ্য প্রশাসন এবং মৎস্য দফতরের সাথে সমন্বয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার সামুদ্রিক উপকূলবর্তী এলাকায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টার জন্য তৈরি।