এমনিতেই বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ মনে করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পিছনে আসল হাত রয়েছে চিনেরই। সেই করোনা যখন একদিকে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর খেলায় মেতেছে, তখন চিনে সামনে আসছে এক নতুন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার খবর। এখন পর্যন্ত ওই ব্যাকটেরিয়ায় ৩০০০ জনেরও বেশি সংক্রামিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
চিনা সরকারের অধীনে থাকা বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা থেকে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তেই এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই সংস্থা পশুদের জন্য এই ব্রুসেলোসিস নামে ভ্যাকসিন তৈরি করার সময়ই দুর্ঘটনাবশত ওই ব্যাকটেরিয়া বাইরে বেরিয়ে আসে। ল্যানঝৌ শহরের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৩২৪৫ জন ব্রুসেলোসিস নামে ওই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
এছাড়া প্রায় ২২,০০০ লোককে স্ক্রিনিং করার পরে আরও ১,৪০১ জনকে এই রোগের প্রাথমিক পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও এখন অবধি কোনও মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসেনি।
আরও পড়ুন – শৌচাগারের সামনে চেপে ধরে ট্রাম্প, মডেলের বিস্ফোরক অভিযোগ
পাশাপাশি চিনা আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এখন পর্যন্ত মানুষের থেকে অন্য মানুষের দেহে এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই ব্রুসেলোসিস মাল্টা জ্বর নামেও পরিচিত। মাথাব্যাথা, পেশী ব্যথা, বার বার জ্বর আসা যাওয়া, ক্লান্তি, ঘাম হওয়া, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি এই রোগের উপসর্গ। এছাড়াও এমন কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যা কিনা শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকতে পারে।
আপাতত জানা গিয়েছে, গবাদি পশু থেকেই এই রোগের সংক্রমণ ঘটে মানুষের মধ্যে। গ্যানসু প্রদেশে ইতিমধ্যেই ওই রোগকে রুখতে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে বলে খবর।
ল্যানঝৌ শহরের হেলথ কমিশন জানিয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ের শেষ থেকে অগস্টের শেষের মধ্যে বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা থেকে এই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। যদিও চলতি বছরের জানুয়ারিতে কর্তৃপক্ষ ওই প্লান্টের একাধিক অনুমোদন বাতিল করে দেয় বলে রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে।