২০২০ নয় | কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে যে বাম -কংগ্রেসের ধর্মঘট বুধবার রাজ্যবাসী দেখল তাতে মনে হচ্ছিল আবার সেই নব্বইয়ের দশকে ফিরে গেছে বাংলা | সেই জঙ্গীপনা | সেই মানছি না মানবো না | বাস বেরিয়েছিল | তাতে উঠে গিয়ে ভাঙচুর | এম্বুলেন্স আটকানো, অটোর কাচ ভাঙা , রেললাইনে বোমা রেখে দেওয়া এইভাবেই নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার চেষ্টা দুই প্রায় অস্তিত্বহীন রাজনৈতিক দলের | হাওড়া,শিয়ালদহ স্টেশন প্রায় জনশূন্য |
দফায় দফায় সল্টলেক,বারুইপুর,মালদহর রথতলা, সিউড়ি রাজ্যের নানা জায়গায় ধর্মঘট সফলের যে কায়দা তা মোটামোটি এক রকম |
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য পরিষ্কার, ৩৬৫ দিনের কাজের সুষ্ঠভাবে চলার জন্য নাকি সাধারণ মানুষ এই ধর্মঘট করছেন স্বতঃস্ফূর্তই | রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া নির্দেশিকা ধর্মঘট উপেক্ষা করেই কাজের জায়গায় পৌঁছতে হবে |
তা না হলেই চাকরি জীবন থেকে একদিন বাদ হয়ে যাবে | একই নির্দেশিকা জারি করেছেন অনেক বেসরকারি জায়গাও | প্রশ্ন এই দোটানার মধ্যে পড়ে যদি ধরুন কারো আঘাত লাগে বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তার দায় কে নেবে,সরকার না বিরোধীরা |
সারা ভারত ব্যাপী যে জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা তাও বুধবারই | লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পৌঁছতে পারবেন কিনা তা নিয়ে কোন চিন্তা আছে এই জঙ্গী ধর্মঘটীদের ? তারা নিজেরাো জানে যত আস্ফালনই করুক না কেন তারা, প্রকৃতপক্ষে এই ধর্মঘট প্রকৃতক্ষে একটি নিষ্ফলা ধর্মঘট |