সারা দুনিয়ায় যখন করোনাভাইরাস (Coronavirus) নিয়ে হইচই চলছে, তখন আমেরিকায় সীমান্তরক্ষীর হাতে আবার আরেকজন ‘তথাকথিত’ চীনা গবেষক গ্রেফতার হওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। তার লাগেজ থেকে মারণ ভাইরাস ভর্তি ভায়াল পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনা ঊহানের করোনাভাইরাস (Coronavirus) আউটব্রেকের কয়েক মাস আগে ঘটেছিল। ঐ ‘গবেষকের’ লাগেজ থেকে ভয়ংকর সার্স ভাইরাস সহ একাধিক মারণ রোগের ভাইরাস ভর্তি ভায়াল পাওয়া গিয়েছিল।
অপ্রকাশিত এফবিআই (FBI) প্রতিবেদন হতে
নভেম্বর ২০১৮ সালে, অর্থাৎ ঊহানের কুখ্যাত করোনাভাইরাস (Coronavirus) আউটব্রেকের ঠিক এক বছর আগেই; ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন গ্রুপ (US Customs and Border Protection Group) ডেট্রয়েট (Detroit) নগর বিমান বন্দর থেকে একজন চীনা জীববিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করেছিল। সেই জীববিজ্ঞানীর কাছ থেকে ভাইরাস ভর্তি ভায়াল পাওয়া গিয়েছিল। ভায়ালগুলির গায়ে অ্যান্টিবডি লেবেল সাঁটানো ছিল।
উক্ত জীববিজ্ঞানী দাবী করেছিলেন যে, চীনের একজন সহকর্মী তাকে আমেরিকা থেকে এইসব ভায়ালগুলি আমদানি করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর তার কাছ থেকে প্রাপ্ত ভায়ালগুলি পরীক্ষা করে কাস্টমস আধিকারিকরা বিপদের গন্ধ পায়। তাদের বক্তব্য একটি অপ্রকাশিত এফবিআই (FBI) প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছিল, যা ইয়াহু নিউজে (YAHOO NEWS) লিক হয়ে যায়।
আমরা ঐ চীনা (China) গবেষকের কাছ থেকে যেসব ভায়ালগুলি বাজেয়াপ্ত করেছি; তার ভেতরে যা ছিল সেগুলো সত্যিই চিন্তার বিষয়। ভায়ালের ভেতরে মার্স (Mars) , সার্স (Sars) এবং আরও কয়েক প্রকার মারণ রোগের ভাইরাস পাওয়া গেছে।
উক্ত প্রতিবেদনে এফবিআই (FBI) এর ওয়েপন্স অফ মাস ডেসট্রাকশোন ডিরেক্টরেট বা ডব্লুএমডিডি [WEAPONS OF MASS DESTRUCTION DIRECTORATE (WMDD)] এর রাসায়নিক ও জৈবিক ইউনিট চীনা (China) গবেষকের নাম কোনও অজ্ঞাত কারণে প্রকাশ করে নি, এমনকি সে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে গবেষণা করছিল; তাও লেখে নি। কিন্তু যেহেতু মার্স, সার্স ও অন্যান্য ঘাতক ভাইরাসের ভায়াল পাওয়া গিয়েছিল, তাই এফবিআই (FBI) চিন্তা প্রকাশ করেছিল।
ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে এও বলা হয়েছিল যে, আরেকটা প্রতিবেদনে ঐ একই গবেষকের কাছ থেকে অতীতে ই. কোলি ও অন্যান্য ঘাতক ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু তার বিরুদ্ধে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঐ প্রতিবেদনের ওপর ‘ফিসা (FISA)’ ছাপ্পা মারা ছিল অর্থাৎ তা ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিল্যান্স অ্যাক্টের (FOREIGN INTELLIGENCE SURVEILLANCE ACT) আওতায় ছিল।