পাকিস্তানে নৃশংস ভাবে খুন হলেন এক হিন্দু মহিলা। চার সন্তানের মা ওই মহিলাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে খুন করা হয়। শুধু তাই নয়, কেটে ফেলা হয় তাঁর স্তন। একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় মহিলার মুণ্ডুহীন ক্ষতবিক্ষত দেহ।
শিনঝোরো শহরের বাসিন্দা দয়া ভীল, বছর চল্লিশ। জানা গিয়েছে, বুধবার এক কৃষিজমিতে তাঁর মাথা কাটা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্তন কাটা ছিল। মুখাবয়ব ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে চামড়া ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের হিন্দু সেনেটর কৃষ্ণা কুমারী টুইটে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা জানিয়েছেন। কী অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তা বিস্তারিত জানিয়েছেন সেনেটর।
খবর পেয়ে কৃষ্ণা কুমারী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সঙ্গে শিনঝোরো ও শাহপুরচকর থানা এলাকার পুলিশ। তাঁরাই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। জানা গিয়েছে, দয়া ভীলের চার সন্তান রয়েছে। কিন্তু কী কারণে তাঁকে এভাবে খুন করা হল, কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি এখনও। এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির জনপ্রতিনিধি জিয়ালা অমর লাল। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মত, এটি পাকিস্তানের হিন্দু অত্যাচারের ঘটনামাত্র। দিনদিন তা বেড়ে চলেছে।
এই ঘটনা প্রথম নয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে অভিযোগ ওঠে এক হিন্দু কিশোরীকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তর করা হয়। এবং তার পর তাকে বিয়েও করা হয় পাকিস্তানে। পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি কিছুই।