পূর্ব লাদাকের পর এখন চিনের নজর ভারত মহাসাগরের দিকে

পূর্ব লাদাখের পর এবার চিনের নজর ভারত মহাসাগরের দিকে।স্থলপথ এরপর জলপথে পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে ভৌগোলিক দিক দিয়ে ঘিরে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বেজিং। পূর্ব লাদাখের মূল নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সৈন্য সমাবেশ প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চলাকালীন সমুদ্র যুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে উঠে পড়ে লেগেছে বেজিং।যা ভারতের কাছে মোটেও সুখবর।চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে সাউথ ব্লকের কর্তাদের কপালে। ভারত মহাসাগরে পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে চিন সন্দেহজনক গতিবিধি বাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টির ওপর নজর রাখছে ভারতীয় নৌবাহিনী।আকাশপথে এবং জলপথে চালানো হচ্ছে নজরদারি।এছাড়াও ভারত মহাসাগরের এই এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত স্থির চিত্রের উপর ভরসা করা হচ্ছে।নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকে চিন এবং পাকিস্তান থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত।কিন্তু চিন ও পাকিস্তানের ঐক্যবদ্ধ যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সর্বদা তৎপর এবং সজাগ রয়েছে নৌ-বাহিনী।বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত মহাসাগরে পাকিস্তানের হাত শক্ত করতে চাইছে চিন।

 বেজিংয়ের এই ইচ্ছাকে রোধ করতে গেলে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে ভারতীয় নৌবাহিনীকে।পাকিস্তানের সমুদ্র শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য চিন বন্ধুরাষ্ট্র পাকিস্তানকে আটটি ডিজেল চালিত ডুবোজাহাজ, এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপুলসন, চারটি মাল্টিরোল ফ্রিগেট জাহাজ সহ নৌযুদ্ধের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের সামরিক চুক্তি দুই দেশের মধ্যে হয়েছিল।২০২১-২২ সালের মধ্যে এই অস্ত্র-গুলি পাকিস্তানের হাতে চলে আসবে।বর্তমানে পাকিস্তানের কাছে ৯ টি ফ্রিগেট, পাঁচটি ডুবোজাহাজ, ১০ মিসাইল বোট এবং তিনটি মাইন্স ওয়েভার রয়েছে। অন্যদিকে নৌশক্তির নিরিখে গোটা বিশ্বে পাঁচ নম্বর স্থানে রয়েছে ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.