তালিবান আমেরিকা দোহা শান্তিচুক্তির পরেই মঙ্গলবার বেশি রাতে আফগানিস্তানে হামলা চালায় তালিবানরা । তালিবানদের রাতের হামলায় আফগান সেনাবাহিনী ও পুলিশের কমপক্ষে ২০ জন সদস্য মারা গেছেন। বুধবার সরকারীভাবে এই তথ্য দিয়েছেন সরকারী কর্মকর্তারা। হামলার কয়েক ঘন্টা আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন বিদ্রোহীদের রাজনৈতিক প্রধানের সঙ্গে “খুব ভাল” আলোচনা হয়েছে। প্রাদেশিক কাউন্সিল সদস্য সাইফুল্লাহ আমিরি বলেন, মঙ্গলবার রাতে তালিবান যোদ্ধারা কুন্দুজ জেলার ইমাম সাহেব এলাকার কমপক্ষে তিনটি সেনা চৌকিতে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ সেনা ও চার পুলিশ সদস্য মারা গেছেন ।
মঙ্গলবার রাতে মধ্য উরুগানে পুলিশকেও আক্রমণ করে বিদ্রোহীরা। গভর্নরের মুখপাত্র জেরগাই ইবাদি বলেছেন যে এই হামলায় ছয় পুলিশ নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে। বুধবার আমেরিকা তালিবান সন্ত্রাসবাদীদের উপর বিমান হামলা চালায়। দক্ষিণ হেলমন্দ প্রদেশে আফগান সেনাবাহিনীর উপর হামলার পর গত ১১ দিনের মধ্যে মার্কিন সেনা প্রথমবারের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে ।
আমেরিকান সামরিক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র সনি লেগেট বলেছেন, মার্কিন সেনাবাহিনী হেলমন্দের খাল-এ-সরজে তালিবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ৪ মার্চ বিমান হামলা চালায় যা একটি চেকপোস্টকে নিশানা করা হয়। লেগেট টুইট করে বলেন প্রতিশোধ নেওয়ার পরে তালিবানদের হামলার ঘটনা ঘটে ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দোহা শান্তি চুক্তির পর তালেবান সোমবার বলেছে যে তারা আংশিক যুদ্ধবিরতি সমাপ্ত করার পাশাপাশি আফগান সুরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযান আবার শুরু করতে চলেছে। তালিবান সন্ত্রাসবাদী ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ২২ শে ফেব্রুয়ারি এই আংশিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয় ।
তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখন শেষ হয়েছে এবং আমাদের প্রচার যথারীতি চলবে। তিনি এও বলেন যে চুক্তি অনুসারে (ইউএস-তালিবান) আমাদের মুজাহিদিনরা বিদেশি বাহিনী আক্রমণ করবে না তবে কাবুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দোহাচুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পর তালিবান দের তরফে প্রকাশিত পোস্টারে একে আমেরিকার হার ও পলায়ন হিসেবেই দেখানো হয়। সারা আফগানিস্তান জুড়ে উৎসব পালন করতেও দেখা যায় তালিবান পন্থীদের। এই চুক্তি মোতাবেক আগামী চৌদ্দ মাস ধরে ক্রমশ সেনা প্রত্যাহার করবে আমেরিকা ।