চীনে (China) স্বাধীন গণমাধ্যম বলে কিছুই নেই, মিডিয়া পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং এ কারণেই চীন থেকে সহজে তথ্য বের হয় না। চীন মাত্র কিছু সপ্তাহ আগে বিদেশী মিডিয়াদের তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে ছিল। চীন কেন বিদেশী মিডিয়াদের তাড়িয়ে ছিল আর এখন হটাৎ করে কেন চীনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে সব যেন একসূত্রে বেঁধে যেতে শুরু হয়েছে। কোরোনা ভাইরাস মূলত চীন থেকে শুরু হয়েছে এবং এখন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনের মতে, এতে প্রায় তাদের ৪ হাজার লোক মারা গেছে। তবে এখন যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা অত্যন্ত ভয়ানক। চীন সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে চীন সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না, চীন মিথ্যা বলছে। চীন পরিসংখ্যান লুকিয়ে ভুয়ো তথ্য দিচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। ভারতে যেমন কয়েকটি বড় মোবাইল সংস্থা রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ জিও, এয়ারটেল, আইডিয়া, ভোডাফোন ইত্যাদি। চীনেও একইভাবে তিনটি বড় মোবাইল সংস্থা রয়েছে।
এই মোবাইল সংস্থাগুলি সম্পর্কে একই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারির আগে প্রতি মাসে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তবে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ১ কোটি ৫০ লক্ষ বেশি সক্রিয় গ্রাহককে হারিয়েছে। এই জাতীয় আরও বেশি লোক যারা প্রতিদিন মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করত, এখন তদের কোনো খোঁজ খবর নেই কেউই জানে না কোথায় সেই গ্রাহকরা। তারা সকলেই সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিলেন তবে তাদের সকলের মোবাইল এখন বন্ধ রয়েছে।
শুধু এই নয়, উহান শহরে বেশকিছু স্থানে যেখানে হাজার হাজার লোকের বাস সেখানে এখন আলো জ্বলে না। অথচ বিদ্যুৎ বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যায় নেই। এখন যদি ধরে নেওয়া যায় যে ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ ২ টি করে মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতেন তাহলেও ৭৫ লক্ষ মানুষের কোনো খোঁজ নেই। যদি সকলে ৪ টি করে মোবাইল ব্যাবহার করতেন তাহলেও ৩৭ লক্ষ মানুষ নিখোঁজ। বিষয়টি খুবই গম্ভীর, লক্ষ লক্ষ মানুষ নিখোঁজ। এদিকে চীনের দাবি যে তাদের মাত্র ৪ হাজার লোক মারা গেছে। চীনে মিডিয়া স্বাধীন না হওয়ার কারণে আসল তথ্য সামনে আসাও কঠিন হয়ে পড়েছে।