উপরের ছবি দেখে যদি আপনি ভাবছেন ওই ছোটো মেয়ে ও ব্যাক্তি সম্পর্কে বাবা ও কন্য, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আসলে এটা একটা নিকাহ(বিয়ে) এর ছবি। ১০ বছরের একটা মেয়ের সাথে ৪০ বছরের ব্যাক্তি নিকাহ করছে। ঘটনা পাকিস্তানের যেখানে এই জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। শেষমেষ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিবাদের চাপে ৪০ বছরের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪০ বছরের ওই ব্যক্তি ২ লক্ষ ৫০ হাজার পাকিস্তানি রুপির বিনিময়ে ১০ বছরের মেয়েকটিকে কিনেছিল।
যারপর মেয়েটিকে কাজীর কাছে নিয়ে গিয়ে নিকাহ সম্পন্ন করেছিল। কাজী নিকাহ করানোর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে। ছবি পাকিস্তানের বাইরে পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। পাকিস্তানে এমন ঘটনা অনেক দেখা যায়, কারণ পাকিস্থানে এমন অনেক কিছুই জায়েজ(ন্যায্য) বলে মানা হয় যা ভারতীয়রা কল্পনাও করতে পারে না। তাই ছবি ভাইরাল হয়ে পাকিস্তানের বাইরে পৌঁছে গেলে পাকিস্তানের প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। ভারত ও পাকিস্তান একসময় একটাই দেশ ছিল। কিন্তু এখন পাকিস্তান একটা ইসলামিক দেশ যেখানে মানুষের মানসিকতা, চরিত্র ভারতীয়দের সম্পূর্ন বিপরীত।
সোশ্যাল মিডিয়ার চাপে পড়ে পাকিস্তানের সরকার পুলিশ পাঠিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করায়। একইসাথে পুলিশ ১০ বছরের ছোটো মেয়েটিকে রক্ষা করে। মেয়েটিকে জানায় যে সে নিকাহ করতে চাই না কিন্তু জোর করে ভয় দেখিয়ে তার সাথে নিকাহ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে কাজীর কাছে গিয়ে নিকাহ করেছিল ৪০ বছরের ব্যাক্তি। জেইমাত্র পুলিশ পৌঁছায় সেই ওই বাচ্চা মেয়েটি জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করে এবং তার উপর জুলুম হয়েছে বলে জানায়।
মিডিয়ার লোকজন যখন ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে যে সে কেন ১০ বছরের মেয়েকে বিয়ে করছে। তখন ওই ব্যক্তি মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং বলে মেয়েটি ১৬-১৭ বছরের এবং নিজের ইচ্ছামতে বিয়ে করেছে। পাকিস্তানের সরকার, প্রশাসন কর্তৃপক্ষ কট্টরপন্থীদের কাছে মাথা নিচু করে থাকে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার চাপে পড়ে পাকিস্তানের প্রশাসন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।