করোনা ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা দেখেছে গোটা বিশ্ব। কোনও ওষুধ, ভ্যাকসিন না থাকায় অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল মারণ ভাইরাসের কাছে। এবার তার থেকেও ভয়ংকর এক ভাইরাসের কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, আমাদের এই গ্রহে যে কোনও সময় হানা দিতে পারে কোনও মারণ ভাইরাস। ওই ভাইরাসের দাপটে ফের এক অতিমারীর মুখোমুখি হতে পারে আমাদের এই গ্রহ। ওই অজানা ভাইরাসকে ‘জম্বি’ ভাইরাস বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।
কোথায় রয়েছে এই জম্বি ভাইরাস? এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা বলছেন, জম্বি ভাইরায় লুকিয়ে রয়েছে আন্টার্টিকার বরফের নীচে। পৃথিবীর উত্তাপ বাড়ার জন্য গলতে শুরু করেছে উত্তর মেরুর বরফ। আর সেই বরফের নীচে থেকে বেরিয়ে আসবে ৪৮,৫০০ বছর লুকিয়ে থাকা ভয়ংকর ওই ভাইরাস।
ফ্রান্সের এইক্স-মার্সেলি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জেন মাইকেল ক্লাভেরি এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘ বর্তমানে একটি কঠিন রোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে যেটি দুনিয়ার দক্ষিণাঞ্চল থেকে শুরু হয়ে তা উত্তরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতিমারী বিশেষজ্ঞরা বিষয়টির উপরে নজর রেখে চলেছেন। আমার মনে হয়ে মেরুপ্রদেশে বরফের তলায় এমন ভাইরাস লুকিয়ে রেয়েছে যা নতুন করে একটি মহামারীর সৃষ্টি করতে পারে।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ায় এমন একটি ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছিলেন যার বয়স ৪৮৫০০ বছর। ফলে মনে করা হচ্ছে সেই জল্পনাই কি উস্কে দিলেন বিজ্ঞানীরা? ফ্রান্সের ওই বিজ্ঞানীর সুরে সুর মিলিয়েছেন রটাডামের ইররাসমাস মেডিক্যাল সেন্টারের বিজ্ঞানী মেরিয়ন কুপারম্যান। তিনি জানিয়েছেন, মেরুপ্রদেশের বরফের নীচে জম্বি ভাইরাস লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এটি বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়লে নিশ্চিত বিপদ।
এদিকে, হু-র প্রধান সম্প্রতি একটি রোগের কথা বলেছেন। তাঁর কথা মতো এই ভাইরাসটির নাম ডিজিজ এক্স। এটি মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন হু প্রধান। এনিয়ে প্রতিটি দেশকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।