কথায় আছে, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। ছোটখাটো ভুলে জীবনে অনেক সময় বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। ৩১ বছরের মাইকেলের সঙ্গেও ঘটল তেমন এক ঘটনা। নিজের ভুলের কারণেই বড়সড় আর্থিক ক্ষতি হল তাঁর। খোয়া গেল কয়েক লক্ষ টাকা। পরোপকারী হিসাবে নামডাক রয়েছে সানফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা মাইকেলের। চেনা হোক কিংবা অচেনা— কারও বিপদে পাশে দাঁড়াতে দ্বিতীয় বার ভাবেন না তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাড়িতে সদস্য বলতে শুধু স্ত্রী। যা রোজগার করেন তার অর্ধেকটাই বিলিয়ে দেন পরোপকারে।
মাইকেলের এমন পরোপকারী স্বভাবের কথা জানতে পেরে সম্প্রতি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সাহায্য চায় তাঁর কাছ থেকে। ওই সংস্থা বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় দারিদ্রসীমার নীচে থাকা বাচ্চাদের অন্ন, বস্ত্র এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে। এমন উদ্যোগের কথা জানার পর মাইকেলও খুশি হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিছু টাকা অনুদান দেওয়ার। স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে মাইকেল ঠিক করেন ১২ হাজার টাকা দেবেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। সেই মতো ওই সংস্থার কাছ থেকে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর চান মাইকেল। মাইকেল ভেবেছিলেন, ব্যাঙ্কে গিয়েই টাকা পাঠিয়ে দেবেন তিনি। কিন্তু সময়ের অভাবে ব্যাঙ্কে যাওয়া হয়নি। বাড়ি বসে ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা পাঠাচ্ছিলেন। তখনই ভুলবশত ১২ হাজার টাকার বদলে ১২ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন মাইকেল। দুটো শূন্য যে বেশি লিখে ফেলেছিলেন সেটা খেয়ালই করেননি তিনি। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ ঢোকার পর তিনি বুঝতে পারেন, তিনি বড় ভুল করে ফেলেছেন। কিন্তু তখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। মাইকেল তাঁর টাকা ফিরে পেয়েছেন কি না, সেটা অবশ্য আর জানা যায়নি।