পুরুলিয়ার পলাশবনের রঙে সাজবে গোটা রাঙামাটির দেশ

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের শুভারম্ভ হতে চলেছে আগামীকাল। প্রথম দফার নির্বাচনে পাঁচটি জেলার মোট তিরিশটি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন আগামীকাল, ২৭শে মার্চ। বাঁকুড়ার চারটি, পুরুলিয়া (৯) ও ঝাড়গ্রামের (৪) সব ক’টি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ছ’টি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সাতটি বিধানসভার ভাগ্য আগামীকাল নির্ধারণ করবেন সংশ্লিষ্ট ভোটাররা। কি হতে চলেছে সম্ভাব্য ফলাফল? দেখা যেতে পারে পূর্ববর্তী বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের তথ্য, পরিসংখ্যান ও বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের জনমানসের অভিব্যক্তির পূর্বাভাসের সম্যক পর্যালোচনার ভিত্তিতে।

বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের সংশ্লিষ্ট বিধানসভাগুলির ভোটারদের তাৎপর্যপূর্ণরকমের বড় অংশ তফশিলী জাতি ও উপজাতিভুক্ত। এবং তাঁদের অধিকাংশই (গড়ে ৯৫% এর বেশি) গ্রামীণ ভোটার। ২০১৯ এর ভোটার তালিকা অনুযায়ী উক্ত প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা গড়ে প্রায় ২.২ লক্ষের মত এবং নারী ও পুরুষ নির্বাচকের সংখ্যাও তুল্যমূল্য। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই পুরুষ ভোটারের সংখ্যা মহিলা ভোটারদের তুলনায় সামান্য বেশি। গত দুইটি নির্বাচনে উক্ত বিধানসভাগুলিতে ভোট পড়েছে গড়ে ৮০% এরও বেশি।  অর্থাৎ ইতিবাচক নির্বাচনী উদ্দীপনার কোনো অভাব এই অঞ্চলসমূহের জনগণের নেই বলে ধরা যেতে পারে। 

২০১৬’র বিধানসভা নির্বাচনে TMC জিতলেও ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার ৪টি বিধানসভাই ভোট দিয়েছিল বিজেপির পক্ষে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের মধ্যে সর্বাধিক ভোট শতাংশ গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে। এমত পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় নেতৃবর্গকে নিয়ে এসে বিজেপির উঁচু তারে বাঁধা নিরলস নির্বাচনী প্রচার যে প্রবল উন্মাদনা জনমানসে সৃষ্টি করেছে, তার বৈশ্লেষণিক পর্যবেক্ষণের পর বাঁকুড়ার গৈরিক অভ্যুত্থান কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হয়।

বিজেপির নির্বাচনী প্রচারকদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী বার বার এসেছেন এই জেলাগুলিতে এবং ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছেন তাঁদের প্রকৃত সমস্যাসমূহ। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের সাধারণ মানুষ মোদীর বক্তৃতায় যতখানি নিজেদের সমস্যার কথা শুনতে পেয়েছেন, ততখানি বোধ করি আর কারুর কাছ থেকেই তাঁরা শোনেন নি। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং অন্যান্য নানা এলাকায় মোদী-উন্মাদনার মূল কারণ সেইটিই। 

পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বঞ্চিত জনগোষ্ঠী হল তফশিলী জাতি ও উপজাতিভুক্তরা। তাঁদের প্রাপ্য মৌলিক সুযোগসুবিধা ও পরিকাঠামো সৃষ্টি করার প্রয়াস আজ পর্যন্ত যথাযথভাবে করেনি পশ্চিমবঙ্গের কোনো রাজ্য সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে কিছু ভাতা বিতরণের রাজনীতি করা হয়ে থাকলেও মৌলিক পরিকাঠামোগুলি এঁদের জন্য অধরা করেই রাখা হয়েছে। অথচ পর্যটন, বনজ সম্পদ উৎপাদন, কৃষি, MSME ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে রাঢ়বঙ্গের জেলাগুলির আর্থ-সামাজিক বিকাশের সম্ভাবনা অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী প্রচারে এসে সেই সম্ভাবনার কথাগুলি তুলে ধরেছেন এবং তা রূপায়ণের আশ্বাস দিয়েছেন। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলায় সাধারণ মৌলিক পরিকাঠামোর অভাব, যাতায়াতের অসুবিধে, সেচের জলের অভাব, পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট এবং অন্যান্য জীবিকাসংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন রাঙামাটির দেশের লোকগুলির মনের কথা। উক্ত অঞ্চলের মহিলাদের সুরক্ষা ও দৈনন্দিন জীবনে তাঁদের কষ্ট লাঘব করার কথা বলে মোদী রাঢ়বঙ্গের মহিলা-মন জয় করেছেন। NDA সরকারের একের পর এক প্রকল্প মহিলাদের জীবনকে সহজতর করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। মহিলামহলে মোদী তাই স্বভাবতঃই জনপ্র্রিয়। আগামীকালের নির্বাচন ক্ষেত্রগুলির মহিলারা সে বিষয়ে ব্যতিক্রম নন।

ভারতীয় জনতা পার্টির এমত ইতিবাচক ফ্যাক্টরগুলি ছাড়াও তৃণমূলের বেশ কিছু নেতিবাচক ফ্যাক্টরও এবার পরোক্ষে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে লাভজনক হতে চলেছে বলে মনে হয়। কাটমানি সংস্কৃতি এবং সরকারি টাকা ও রেশন লুঠের নেতিবাচক প্রভাব ভোটের বাক্সে পড়বে। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বিজেপির নিয়ত উপস্থিতির কারণেই বোধ করি পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিকে সুযোগসন্ধানী ও সুবিধাবাদী রাজনীতি বলে চিহ্নিত করতে শুরু করেছেন। এর নেতিবাচক প্রভাবও EVM গুলিকে সহ্য করতে হবে। তাছাড়া রয়েছে তপশীলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মানুষের মনের ভিতরকার বহুযুগসঞ্চিত বঞ্চনার অনুভূতি। সব মিলিয়ে তাঁদের অন্তরের গৈরিকীকরণ বেশ কিছু বছর আগেই হয়েছে। মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি নির্বাচনী সংকল্প অনুযায়ী কাজ করবে বলে তাঁরা মনে করছেন যে ভরসা অন্য কোনো দলের ওপর রাখতে এই মুহূর্তে তাঁরা পারছেন না। উপরন্তু শুভেন্দু অধিকারী ফ্যাক্টরটি জঙ্গলমহল ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপির পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভ্যালু অ্যাডিশন। সেই কারণেই হয়ত গত ২৪শে মার্চ জঙ্গলমহলে রামগড়ের সভায় যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারীর রাস্তা আটকে দেয় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে।

একদিকে যেমন বিজেপির প্রচারে উঠে এসেছে স্থানীয় সমস্যা, তার সমাধান এবং তৃণমূলের নানা দোষ, ত্রুটি ও অন্যায়ের সমালোচনা, তেমনই অন্যদিকে তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে কেবলই ছিল বিজেপি-নিন্দা ও মোদী বিরোধী কুৎসা। পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের গৈরিকীকরণের নির্বাচনী প্রতিফলন প্রথম দেখা যায় ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। তৎপরবর্তীকালে যে সন্ত্রাসের মুখোমুখি হতে হয়েছিল জেলাদুইটির তৃণমূল-বিরোধী মানুষকে, সেই স্মৃতিও মানুষের মনে ভিড় করে আসবে আগামীকাল EVM এর বোতাম টেপার সময়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদলে সেই খাতের সরকারি টাকা থেকে পার্সেন্টেজ তোলাবাজিও মানুষের মনে ক্ষোভ ও রোষের জন্ম দিয়েছে। পুরুলিয়ায় দুলাল কুমার, ত্রিলোচন মাহাতোর মত বিজেপি কার্যকর্তা রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন। অমিত শাহ্ এর মত নেতা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়েছেন রাজনৈতিক হিংসার শিকার হওয়া মানুষগুলোর পরিবারের কাছে। আশ্বাস দিয়েছেন পাশে থাকার এবং এককালীন পঁচিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থসাহায্য দেওয়ার। বিজেপির সংকল্পপত্রে তার উল্লেখও আছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যেও একমাত্র শালবনী ছাড়া অন্য সবগুলিই ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে জয়ী করেছিল বিজেপিকে, যদিও ২০১৬’র নির্বাচনে তারা ভোট দিয়েছিল তৃণমূলকে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের নির্বাচনী প্রবণতা হল বিজয়ীর পক্ষে থাকার প্রবণতা। সেই ভাবধারার পরিপ্রেক্ষিতে একথা আন্দাজ করা অযৌক্তিক নয় যে গোটা অঞ্চলের আসন্ন গৈরিকীকরণের মুখে শালবনীও এবার মত দেবে বিজেপিরই পক্ষে, বিশেষতঃ শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর। উপরন্তু, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিধানসভাগুলিতেও তপশীলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট। এই বিধানসভাগুলি হয় মেদিনীপুর নয়ত ঝাড়গ্রাম লোকসভার অন্তর্গত যে লোকসভাগুলির প্রতিনিধিত্ব বর্তমানে করছেন ভারতীয় জনতা পার্টির দিলীপ ঘোষ ও কুণার হেমব্রম (যথাক্রমে)। বিধানসভাগুলির ৯৫% এর বেশি ভোটার গ্রামীণ যেখানে দাঁতনের ভোটারদের ১০০%ই গ্রামীণ ভোটার।

আসা যাক পূর্ব মেদিনীপুরে। ইতিহাস অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর উগ্র জাতীয়তাবাদের পীঠস্থান। বর্তমানে সেখানকার ‘ঘরের ছেলে’ শুভেন্দু অধিকারীও ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম প্রবক্তা। তাছাড়া কাঁথি তথা পূর্ব মেদিনীপুর যে সাম্প্রতিককালে ‘অধিকারীদের গড়’ বলে পরিচিত, সে সত্যের পুনরুচ্চারণ বোধ করি নিষ্প্রয়োজন। দুই ছেলে ও বাবা—অধিকারী পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিতে পেরে পূর্ব মেদিনীপুরে নিজেদের লড়াইটি আগের চেয়ে অনেক সহজ করে নিতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা বিধানসভা অঞ্চলটি জিতিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির দিলীপ ঘোষকে যেখানে রামনগর ও খেজুরি বিধানসভা অঞ্চলগুলিতেও তৃণমূলের চেয়ে খুব বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিল না বিজেপি। রামনগর ও খেজুরি কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত যে লোকসভা ২০১৯ এর নির্বাচনে জিতেছিলেন শিশির অধিকারী। সেই শিশির অধিকারী বর্তমানে সদস্য ভারতীয় জনতা পার্টির। এমত তথ্যের নির্বাচনী তাৎপর্য সহজবোধ্য। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভার অন্তর্গত কাঁথি-উত্তর বিধানসভা ক্ষেত্রে বিজেপির ভোট-শতাংশ ছিল তৃণমূলের ভোট-শতাংশের চেয়ে ৬% কম, কাঁথি-দক্ষিণে ১০% কম, পটাশপুরে ৭% কম, রামনগরে ৩.৫% কম আর খেজুরিতে ছিল ২.৭৮% কম। এ হেন কাঁথি লোকসভার এম পি শিশির অধিকারীর বিজেপিতে আসা পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির লড়াইকে সহজতর করবে তা স্বাভাবিক।

রাজনৈতিক পাটিগণিতের হিসেব ছাড়াও মেদিনীপুরের মানুষকে যদি পৃথক গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা না হয়, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সেক্ষেত্রে ভুল হয়ে যাবে। মেদিনীপুরের সাধারণ মানুষ তীক্ষ্ণধী ও সচেতন। কৃষি এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান পেশা যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেদাজেদির রাজনীতি পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষকদের ক্ষতির কারণ হয়েছে। গত দুই বছর যাবৎ প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধির অর্থমূল্যটুকু তাঁরা পান নি। নির্বাচনী সংকল্পপত্রে বিজেপি সংকল্প করেছে যে জয়লাভ করলে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের গত দুই বছরের অপ্রাপ্ত নিধি এবং বর্তমান বছরের এযাবৎকালের প্রাপ্য অর্থমূল্য একবারে দেবে। এমত ঘোষণার পর মেদিনীপুরের চাষীরা বিজেপিকে ভোট কেন দেবেন না, প্রশ্ন বরং সেটি।  কাঁথি দক্ষিণের কাজুচাষীরাও এবার বিজেপিকে নির্বাচন না করার ভুল করবেন না। কারণ বিজেপি এলে তাঁদের চাষের পরিকাঠামো ও বিপণনের সুযোগ যে উন্নততর হবে, সে কথা তাঁরা জানেন। এই কারণেই লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি-দক্ষিণ বিধানসভা ক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপির ভোট শতাংশের মধ্যে ১০% পার্থক্য এবার মিটে গিয়ে উদ্বৃত্ত হবে। চাষবাস ছাড়াও শিক্ষা, পর্যটন, MSME এবং সম্পূর্ণ পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও মেদিনীপুর জেলার সম্ভাবনা অপরিসীম। এবং দুইটি দলের গতিপ্রকৃতি বিচার করে মেদিনীপুরের মানুষ একথা উপলব্ধি করতে সক্ষম যে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর যদি আদৌ হয়, তবে মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি থাকলেই হবে, মমতার মুখ্যমন্ত্রীত্বে নয়। মেদিনীপুরের মানুষ বাস্তবসচেতন। তাঁরা জানেন, অর্থনৈতিক ও পরিকাঠামোগত বিকাশ হলে স্কাই ইজ দ্য লিমিট ফর মেদিনীপুর। তাই মেদিনীপুরের মানুষ এবার ভোট দেবেন ডাবল ইঞ্জিনের সরকার নির্বাচন করতে।‌

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন হিংসা ও রক্তপাত বিনা আজ পর্যন্ত হয় নি। হতাশাগ্রস্ত শাসকদল মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সবরকম কৌশল অবলম্বন করবে এবং তাঁদেরকে ভয় দেখানোর চেষ্টায় ত্রুটি রাখবে না বলে আন্দাজ করা জলের মত সহজ। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন তার জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে প্রয়োজন যথাযথ প্রশাসনিক তৎপরতার। আগামীকালের নির্বাচন ক্ষেত্রগুলির দিগন্ত রেখায় ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে গেরুয়ার আভাস। পুরুলিয়ার পলাশবনের রঙে সাজবে গোটা রাঙামাটির দেশ। 

Date of ElectionConstituency NoConstituency NameDistrict
27.03.2021 
30 Assemblies
250RaipurBankura 4 Assemblies out of 12 Total
249Ranibandh 
248Chhatna
247Saltora
246RaghunathpurPurulia All 9 Assemblies
245Para
244Kashipur 
243Manbazar
242Purulia 
241Joypur 
240Baghmundi 
239Balarampur 
238Bandwan 
219DantanPashchim Medinipur6 Assemblies out of 15 Total
236Medinipur 
234Salboni 
233Garbeta 
228Kharagpur 
223Keshiyari 
222Jhargram JhargramAll 4 Assemblies 
221Gopiballavpur 
220Nayagram 
237Binpur
218Egra Purba Medinipur 7 Assemblies out of 16 Total
217Ramnagar 
216Kanthi Dakshin
215Khejuri 
214Bhagabanpur 
213Kanthi Uttar
212Patashpur 

দেবযানী ভট্টাচার্য্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.