জলপাইগুড়িতে দম্পতির মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনায় অভিযুক্ত যুব তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষের আত্মসমর্পণ

জলপাইগুড়িতে দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পালিয়ে থাকা অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা তথা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করলেন। প্রায় এক মাস ৯ দিন পর আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রয়েছেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ আরও দু’জন। সার্কিট বেঞ্চের নির্দেশে আপাতত সৈকতকে গ্রেফতার করা যাবে না। পলাতক আরও বাকি দুই অভিযুক্ত।

১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডা পাড়ায় দম্পতির অস্বভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। মারা যায় প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্য ও আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্য। ঘটনার পরেই একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। সেখানে সৈকত চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ ঘোষ সহ আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসে। তাদের চাপে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এদিকে মৃত আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় থানায় অভিযোগ করেন।মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে উঠেছিল।

এদিকে এতদিন অভিযুক্তরা পলাতক ছিল। বুধবার অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলেন। সন্দীপকে গ্রেফতার করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

এদিকে আত্মসমর্পণ করার আগে সন্দীপ সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, এটা বিজেপির চক্রান্ত। আমি নির্দোষ। আইনের প্রতি ভরসা আছে।”

এদিকে ডিএসপি সমীর পাল বলেন, সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগে নাম রয়েছে সন্দীপের। কোর্টে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.