নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব যোগ দিবস ও বিশ্ব সঙ্গীত দিবস পালিত হল বাঁকুড়ায়। এদিন সকালে বাঁকুড়া জেলা জাতীয় ক্রীড়া ও শক্তি সংঘ, অনুশীলন সমিতি এবং বাঁকুড়া প্রীতি সংস্থার উদ্যোগে বাঁকুড়া শহরে বিশ্ব যোগ দিবস পালন করা হয় যোগ চর্চার মাধ্যমে। পাশাপাশি এদিন ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের চিফ ইঞ্জিনিয়ার প্রদ্যুম্ন প্রসাদ সাহা তার কর্মীদের নিয়ে যোগচর্চার মাধ্যমে বার্তা দেন শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে যোগ ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
বাঁকুড়া প্রীতির প্রশিক্ষক অজিত প্রসাদ, জেলা জাতীয় ক্রীড়া ও শক্তি সংঘের সম্পাদক রবীন মণ্ডল ও অনুশীলন সমিতির সম্পাদক প্রদীপ নাগ জানান, দৈহিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ, সবল, নিরোগ থাকার জন্য নিয়মিত যোগ চর্চার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিষ্ণুপুরে মল্লভূম যোগ সেন্টারের উদ্যোগে যোগ দিবস পালন করা হয়। অন্যদিকে সারেঙ্গার চিলতোড় অঞ্চল কমিটির উদ্যোগ যোগ দিবস পালন করা হয়।
জঙ্গলমহলের চাতরী নিম্ন বুনিয়াদী আবাসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম মন্ডল জানান, এদিন তারা একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে এলাকা পরিক্রমা করে যোগ ব্যায়াম ও পরিমাণ মত জল পানের বার্তা প্রচার করেন।
“যোগের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সোনামুখী উত্তর চক্রের মদনপুর জয়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকগণ ১০তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের সূচনা করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দময় ঘোষ বলেন, ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে।
আনন্দময় ঘোষ জানান, “যোগ রোগ সারায়, -এই বার্তাটি সবার মধ্যে পৌঁছে দেওয়াই এই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের মুখ্য উদ্দেশ্য। যোগের মাধ্যমে শুধুমাত্র দেহের অঙ্গগুলিতে নয়, মন, মস্তিষ্ক এবং আত্মার ভারসাম্য তৈরি হয়। যোগের গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি করে বর্তমানে প্রাথমিকের সিলেবাসে ‘স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা “পুস্তকে যোগা স্থান পেয়েছে। প্রাথমিকের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতেও যোগাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। দিনটিকে গুরুত্ব সহকারে পালন করে পরিবেশবাদী সংস্থা মাই ডিয়ার ট্রিজ এন্ড ওয়াইল্ডস। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহযোগিতায় এনভায়রনমেন্টাল মিউজিক ফেস্টিভ্যাল নামে আয়োজিত এই দুই অনুষ্ঠানে ৬৭ জন শিল্পী অংশ নেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশিষ্ট শিল্পী সঙ্গীতা ধর বিশ্বাস, ঝর্ণা গাঙ্গুলি, মালিনী রায়, ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য,একতা গাঙ্গুলি।