- আন্তর্জাতিক টেনিস সার্কিটে তিনি ‘জোকার’ নামে পরিচিত। এহেন জকোভিচ চলতি বছর মারাত্মক বিতর্কে জড়িয়ে যান। বিশ্বের অন্য প্রতিযোগিতার মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে গেলেও, কোভিডের টিকা নেওয়া ছিল বাধ্যতামূলক। তবে জকোভিচ কোভিডের টিকা না নিয়েই অস্ট্রেলিয়া উড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ভ্যাকসিন নেননি। ফলে তাঁকে অস্ট্রেলিয়া সরকার ডিপোর্ট করর দেয়। তবে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি সার্বিয়ান তারকা। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেও তিনি ভ্যাকসিন না নিয়েই খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও একই কারণে তাঁর যুক্তরাষ্ট্র ওপেনও খেলা হয়নি।
2/11
- শেন ওয়ার্নের অকালমৃত্যু
- চলতি বছরের ৪ মার্চ। ইন্দ্রপতনের সাক্ষী থাকল ক্রিকেট দুনিয়া। বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে থাইল্যান্ডের রিসোর্টে মাত্র ৫২ বছর বয়সে মারা যান তারকা লেগ স্পিনার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ১৪৫টি টেস্টে ৭০৮ উইকেট নেওয়া ওয়ার্নির মৃত্যুতে এখনও সবাই স্তম্ভিত।
3/11
- গাড়ি দুর্ঘটনায় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মৃত্যু
- ১৪ মে ফের একটা খারাপ খুবর গোটা দুনিয়াকে একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ২০০৭ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ‘মাঙ্কিগেট’ কান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। ব্যাটিং-বোলিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংয়েও নজর কেড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ‘সিমো’। কিন্তু মাত্র ৪৬ বছর বয়সে থেমে গেলেন তিনি।
4/11
- আলভিদা ‘রাজা’ রজার
- ১০৩টি এটিপি সিঙ্গলস টাইটেল, ২০টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম, ৩১০ সপ্তাহ ধরে বিশ্বের এক নম্বর জায়গা ধরে রাখার রেকড়দ-রজার ফেডেরারকে শুধু সংখ্যা দিয়ে ভাবলে হবে না। বিশ্বের আধুনিক টেনিসের নিখুঁত শিল্পী তিনি। অনেকের মতে তিনিই টেনিস ইতিহাসের সর্বকালের সেরা। তবে হাঁটুর চোটের জন্য তাঁকে থেমে যেতে হয়েছিল। শেষবারের মতো চলতি বছর লেবার কাপে তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালকে নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন ফেডেরার। চোখের জলে নিয়েছিলেন বিদায়।
5/11
- বিদায় সেরেনা
- মহিলাদের টেনিসকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। কোর্টে তিনি বারবার গর্জে উঠেছিলেন। তাঁর জোরালো সার্ভ ও ভলির কাছে উড়ে গিয়েছে একাধিক বিপক্ষ। ৪১ বছর বয়সে টেনিসকে বিদায় জানিয়েছিলেন। তাঁর প্রিয় র্যাকেট তুলে রাখার আগে নিজের দখলে নিয়েছিলেন সর্বাধিক ২৩টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম।
6/11
- কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের সাফল্য
- চলতি বছর বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে দারুণ পারফরম্যান্স করেছিল ভারতীয় দল। ২২টি সোনা, ১৬টি রূপো ও ২৩টি ব্রোঞ্জ-মোট ৬১টি পদক নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করে টিম ইন্ডিয়া। পিভি সিন্ধু, অচিন্ত্য শিউলি, লক্ষ্য সেনদের সোনা জয় থেকে মীরাবাই চানুর উত্থানের সাক্ষী ছিল গোটা দেশ। টেবিল টেনিস, কুস্তি, ভারোত্তলন, ব্যাডমিন্টন-একাধিক বিভাগে নজর কেড়েছিল ভারত। এমনকি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯ রানে হারলেও, রুপো জিতে নজর কেড়েছিল হরমনপ্রীত কৌরের প্রমিলাবাহিনী।
7/11
- মিতালি রাজ ও ঝুলন গোস্বামীর অবসর
- অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন মিতালি রাজ ও ঝুলন গোস্বামী। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ইতি টেনেছিলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের দুই স্তম্ভ। একদিকে মিতালি হলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং ঝুলন হলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
8/11
- কাঠগড়ায় রাশিয়া
- ডোপিং ইস্যুতে ইতিমধ্যেই চাপে রাশিয়া। একাধিক প্রতিযোগিতা থেকে এই দেশকে বাতিল করা হয়েছে। এবার এরসঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল যুদ্ধ। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব ফেলেছে গোটা দুনিয়ায়। সেইজন্য ফিফা বিশ্বকাপ ও বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশকে নির্বাসিত করা হয়েছিল।
9/11
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের খালি হাতে বিদায়
- ২০২১ সালের মতো চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেও ভারতীয় দলকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। গত বছর লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও, এবার রোহিত শর্মার নেতৃত্বে সেমি ফাইনাল থেকেই ছিটকে গিয়েছিল ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিগেড। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যচে ৪ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলির ব্যাটে রক্ষা পেয়েছিল ভারত। তবে শেষরক্ষা হয়নি। কারণ শেষ চারের লড়াইয়ে জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলসের দাপুটে ব্যাটিংয়ের জন্য ১০ উইকেটে হার হজম করেছিল ভারতীয় দল।
10/11
- বিতর্কের কাতার বিশ্বকাপ
- বিশ্বকাপ আয়োজনের শুরু থেকেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়ছিল কাতার। বিভিন্ন দেশকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু থেকে বিশ্বকাপ কভার করতে যাওয়া তিন সাংবাদিকের মারা যাওয়া। এমনকি সমপ্রেমীদের বিরুদ্ধে চোখরাঙানি থেকে শুরু করে মদ্যপান ও খোলামেলা পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা। একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে কাতার। যদিও ফিফা-র দাবি কাতারেই নাকি সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছিল।
11/11
- ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা
- রুদ্ধশ্বাস মহাকাব্যিক ফাইনালে অবশেষে জয়। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে দিয়েগো মারাদোনাকে ছুঁলেন লিওনেল মেসি। কিলিয়ান এমবাপের লড়াইয়ের পরেও ফাইনাল জিতল আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে সেই আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সেরা ফাইনাল। গোটা ম্যাচ জুড়ে বার বার বদলাল খেলার রং। প্রথমার্ধে লিয়োনেল মেসি ও আঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে জোড়া গোল করলেন এমবাপে। অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন মেসি। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হল খেলার ফয়সালা। সেখানে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা।