গুরুগ্রামে একটি আবাসনের ছাদের একাংশ ভেঙে মৃত্যু হল কমপক্ষে দু’জনের। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও তিনজন আটকে আছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং দমকল বাহিনী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ গুরুগ্রামের সেক্টর ১০৯-এর চিনটেলস প্যারাডিসোর ডি টাওয়ারের ছ’তলার সিলিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, সাত তলার ফ্ল্যাটের মালিক সংস্কারের কাজ করছিলেন। সেইসময় সিলিং ভেঙে পড়েছে। তার জেরে এক মহিলা-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ছ’জন ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে ছিলেন। ভোররাতের দিকে গুরুগ্রামের বাদশাহপুরের বিধায়ককে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আপাতত তিনজন ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে আছেন। আংশিকভাবে আটকে আছেন একজন। তাঁদের উদ্ধারের কাজ চলছে।
সেই ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ঘটনার পর টুইট করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। তিনি বলেন, ‘গুরুগ্রামের প্যারাডিসো হাউসিং কমপ্লেক্সের ছাদ ভেঙে পড়ার যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে প্রশাসনিক আধিকারিকরা উদ্ধারকাজে ব্যস্ত আছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। সকলে যাতে সুরক্ষিত থাকেন, সেই কামনা করছি।’
গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনার কেকে রাও জানিয়েছেন, কী কারণে ছাদের একাংশ ভেঙে পড়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। তারইমধ্যে আবাসনের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, আগেও আবাসনের কাঠামো নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। একাধিকবার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। বরুণ ধামিজা নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘একবার অডিট হয়েছিল কাঠামোর। কিন্তু তারপর আর কিছু হয়নি।’ সোনম অরোরা নামে অপর এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘গত বছরের জুলাইয়ে ব্যালকনির একাংশ ভেঙে পড়েছিল। আমরা অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি।’ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য আবাসন দফতরের আধিকারিকদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্থানীয় বিধায়ক বলেন, ‘(নির্মাণ সামগ্রীর) গুণমান নিয়ে বিল্ডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’