নয়া এখনও করোনাভাইরাসের বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির হদিশ পাওয়া যায়নি। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানাল সংবাদসংস্থা এএনআই। করোনার ওই প্রজাতিকে ঘিরে নতুন করে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ভারতে যাতে করোনার ওই ভ্যারিয়েন্টের দাপট রোখা যায়, সেজন্য ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় নয়া বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ছ’জন। বত্সোয়ানা এবং হংকঙে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে তিন এবং এক। সেই পরিস্থিতিতে ওই তিন দেশ থেকে যে যাত্রীরা আসবেন, তাঁদের উপর জোরদার নজরদারি চালাতে হবে। করতে হবে পরীক্ষা। তাঁদের সংস্পর্শে এসে যে যে ব্যক্তিরা আসবেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী তাঁদের উপরও নজরদারি চালাতে হবে। সেইসঙ্গে গত ১১ নভেম্বর কেন্দ্রের তরফে যে যে দেশগুলি থেকে আগত যাত্রীদের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখা হয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও একইরকমভাবে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার একটি নয়া প্রজাতির হদিশ মিলেছে। যা আগে কখনও দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে জানানো হয়েছে, বি.১.১.৫২৯ প্রজাতিতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। যে প্রজাতির করোনাভাইরাসের বিষয়ে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ভাইরোলজিস্ট টম পিকক দাবি করেছেন, ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় যথেষ্ট সেই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে।
সেই নয়া প্রজাতির করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনার জন্য ইতিমধ্যে বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি এখনও বেশি তথ্য নেই। আপাতত যা জানা গিয়েছে, তাতে একাধিক মিউটেশন আছে বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনাভাইরাসের। আর যদি এতবার মিউটেশন হয়, তাহলে সেই ভাইরাস প্রভাব ফেলতে পারে।