পরিবার বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা, বাবার ‘চাপ’ কমাতে দুই বোনকে খুন নাবালিকার

পরিবার ক্রমেই বড় হয়ে চলেছে। স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে কী ভাবে ভাল ভাবে দিন কাটাবেন, তা নিয়েই সর্বদা চিন্তায় থাকতেন সহদেব। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাঁর বাড়ি থেকে তাঁর দুই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার পরেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমে জানতে পারে যে, কোনও দুই অচেনা ব্যক্তি ঘরের ভিতর ঢুকে সহদেবের দুই কন্যাকে খুন করেছেন। কিন্তু তদন্ত এগিয়ে চললে জানা যায়, দুই নাবালিকাকে খুন করেছে তাদের দিদিই। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের গোহাওয়ার জাইত গ্রামে ঘটেছে। ১৩ বছরের কিশোরীর বিরুদ্ধে দুই নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদের নাম রিতু (৭) এবং পবিত্রা (৫)।

পুলিশ সূত্রে খবর, সহদেব তাঁর স্ত্রী সবিতা এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। সবিতার ১৩ এবং ন’বছরের দুই কন্যা রয়েছে। সবিতা এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামী পুখরাজের দুই সন্তান তারা। পুখরাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সহদেবের সঙ্গে বিয়ে হয় সবিতার। সহদেব এবং সবিতার তিন সন্তান— সাত এবং পাঁচ বছর বয়সি দুই কন্যা এবং দেড় বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে তাঁদের।

সহদেবের বাড়ি থেকে দুই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সবিতার ১৩ বছরের কন্যা পুলিশকে জানায়, দু’জন অচেনা ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে তার দুই বোনকে গলা টিপে খুন করে পালিয়ে যান। পরে অবশ্য সে নিজেই পুলিশকে আসল ঘটনাটি জানায়। কিশোরীর দাবি, পাঁচ সন্তানকে কী ভাবে বড় করবেন, এত বড় সংসার একা হাতে কী করে সামলাবেন— তা নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকতেন সহদেব। পরিবারের সদস্যসংখ্যা কমে গেলে বাবার চিন্তাও কমে যাবে— এমন ভেবে দুই বোনের গলায় কাপড় জড়িয়ে তাদের গলা টিপে মেরে ফেলে কিশোরী। পুলিশের কাছে এমনটাই জানায় সে। দুই নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.