আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জির। রাত পোহালেই ভোরবেলা প্রত্যেক বাঙালির ঘরে ঘরে বেজে উঠবে এই বাণী। মহালয়াকে কেন্দ্র করে বাঙালির আবেগ চোখে পড়ার মতো। শিউলি ফুলের গন্ধ, পেঁজা তুলোর মতো ভেসে বেড়ানো মেঘ আর সাদা কাশফুল জানান দেয় মা আসছে। আগাম বার্তা দেয় মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনা হয় মহালয়ার দিন থেকেই। ওই দিন থেকেই পুজো পুজো ভাব এসে যায় বাঙালির মনে। মহালয়ার দিনেই মা দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। তাই প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও মহালয়া নিয়ে উন্মাদনা দেখা গেল সকল বাঙালির মনে।
ঢাকের আওয়াজ ছাড়া যেমন দুর্গাপুজো সম্পন্ন হয় না। ঠিক তেমনি মহালয়ার দিন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডীপাঠ ছাড়া চলে না বাঙালির। প্রতি বছরের আর কোনদিন না হোক অন্তত মহালয়ার দিন ভোর পাঁচটার সময় রেডিওতে আকাশবাণী চ্যানেল চালাবেন প্রায় প্রত্যেক বাঙালি। বহু বছর ধরে চলে আসা একই চণ্ডীপাঠ আবারও শুনলে লাগে নতুনত্বই। তাই মহালয়ার আগে তড়িঘড়ি পুরনো রেডিও সারানোর এবং নতুন রেডিও কেনার হিড়িক। ঘাটালের প্রায় সমস্ত দোকানেই মহালয়ার আগের দিন সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেল রেডিও সারানো ও রেডিও কেনার জন্য। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সমস্ত কিছুই পাওয়া যায় তবুও প্রত্যেকটি বয়স্ক ও বৃদ্ধ ব্যক্তিদের টান যেন সেই রেডিওতে।