Women’s Toilet: এলাকায় গিয়েই বুঝেছিলেন পরিস্থিতি, আদিবাসী গ্রামে শৌচালয় গড়ছেন মিত্রবিন্দা-মহুয়া

 নারীর চেয়ে বেশি শৌচাগারের মূল্য সম্ভবত কেউ বোঝে না। শহরজুড়ে নারী-পুরুষদের জন্য শৌচালয় থাকলেও গ্রামে তার দেখা মেলা ভার। শহরের পাবলিক টয়লেট গুলি অত্যাধুনিক এবং পরিচ্ছন্ন। এই অবস্থায় শহরে বসে গ্রামে শৌচালয় তৈরির ভাবনা ভাবলেন কলকাতার দুই মেয়ে।

শৌচকর্মের জন্য গ্রামের মা বোনেদের ছুটতে হয় মাঠে-ঘাটে কিংবা পুকুর পাড়ে। শ্রমিকের কাজ করে পরিবারের মুখে দুবেলা খাবার জোটাতেই হিমশিম খেতে হয় যেখানে বাড়ির পুরুষদের। সেই জায়গায় শৌচালয় তৈরি করাটা বিলাসিতা মাত্র। শৌচালয় না থাকায় রীতিমতো অসুবিধের মুখে পড়তে হয় গ্রামের মা-বোনেদের। তাদের কথা ভেবেই কলকাতার দুই বোন বীরভূমের আদিবাসী গ্রামে তৈরি করেছে শৌচালয়।

মিত্রবিন্দা ঘোষ এবং মহুয়া মেনন বীরভূমের মুর্গাবনি আদিবাসী গ্রামে সম্পূর্ন নিজেদের খরচায় তৈরি করেছেন দুটি শৌচালয়। এই প্রজেক্টের নাম বিয়ন্ড দ্য বাউন্ডারি। জি ২৪ ঘন্টা কে মিত্রবিন্দা ফোনে জানিয়েছেন, বছরখানেক আগে কাজের সূত্রে ওই আদিবাসী গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মহিলাদের অবস্থা দেখে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। নিজেকে দিয়ে সমস্যার গুরুত্ব অনুভব করেন। অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি দেখে মিত্রবিন্দা শৌচাগার বানানোর কথা ভাবেন। এই কাজে সঙ্গী ছিল তার বোন মহুয়া। শুধু শৌচালয় বানানোতেই থেমে থাকেননি এই দুই বোন। বিনামূল্যে গ্রামের মহিলাদের প্রতি মাসে স্যানিটারি প্যাড বিলি করেন মিত্রবিন্দা এবং তার পুরো দল। একজন মহিলা হিসেবে মিত্রবিন্দার ইচ্ছে বীরভূমের আরও একাধিক আদিবাসী গ্রামে শৌচাগার বানানোর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.