ভোট যত এগোচ্ছে, ততই আক্রমণের সুর চড়াচ্ছেন দিলীপ ঘোষরা। রবিবার ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদি আক্রমণের যা মাত্রা ঠিক করে দিয়ে গেলেন, তা আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রসঙ্গেও মমতাকে বিঁধতে ছাড়লেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, সারা দেশে মহিলারা সম্মান পেলেও পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের অবস্থা বেহাল, সুরক্ষা বলে কিছুই নেই। যদিও নারী দিবসের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ।
সোমবার সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘ভারতবর্ষে আলাদা করে নারী দিবসের কোনও প্রয়োজন নেই। যুগ যুগ ধরেই মহিলাদের সামনে রেখে এগিয়েছি আমরা, তাঁদের সম্মান দিয়েছি। নারীদের সম্মান জানাতে আমরা কখনও পিছপা হইনি। বরং তাঁদেরকে আমরা আগে জায়গা দিই। সেই কারণেই আমরা সীতারাম বলে থাকি, রাধা-কৃষ্ণ বলে থাকি। আমাদের দেশে মহিলারা সবসময় এগিয়েই রয়েছেন। প্রাচীন কাল থেকেই তাঁরা এই সম্মান পেয়ে আসছেন। এখন আলাদা করে কোনও নারী দিবসের প্রয়োজন পড়বে না।’
যদিও ভোটের বাজারে নারী দিবস উপলক্ষ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে ছাড়েননি দিলীপ। বাংলায় নারীদের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে দিলীপের অভিযোগ, ‘সারা দেশে যখন নারীরা সম্মান পান, তখন আমাদের দুর্ভাগ্য পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের কোনও সুরক্ষাই নেই। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতেই হচ্ছে। এ বিষয়ে সকলের সচেতন হতে হবে। আগামী প্রজন্মকে মহিলারাই গড়েন। তাই তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে আগে ভাবা প্রয়োজন। আমরা তা ভাবছিও।’
রবিবার শিলিগুড়ির পর আজ ফের রাস্তায় নামছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত তিনি মিছিল করবেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যেই এই মিছিল। প্রতি বছরই তিনি এই কর্মসূচীতে যোগ দেন। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই মিছিল কার্যত ভোট প্রচারের ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই মিছিল প্রসঙ্গেও এদিন কটাক্ষ করেন দিলীপ। বলেন, ‘দশ বছরে উনি কী করেছেন, তা মানুষ এখন জানতে চাইছেন। কিন্তু তাঁর কাছে কোনও উত্তর নেই। তাই অহেতুক কারণে এইসব মিছিল করে তিনি এখন শরীরচর্চা করছেন। আর এগুলো এখনই করতে যাবেন না। ২ মে’র থেকে তো ওনাকে আন্দোলনই করতে হবে।’