ফের প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা। চলন্ত ট্রেন থেকে এবার নিখোঁজ তরুণী! ফরাক্কা ব্রিজে পাওয়া গেল তাঁর ব্যাগ, মোবাইল-সহ আরও নানা জিনিস। কোথায় গেল মেয়ে? উদ্বেগে পরিবারের লোকেরা।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই তরুণীর নাম দীপ্তি ভাগত। বাড়ি, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বারদুয়ারির এলাকায়। ঝাড়খণ্ডের দুমকার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী দীপ্তি। পরিবারের লোকেদের দাবি, রবিবার হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন থেকে কুলিক এক্সপ্রেসে চেপে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। ঠিক ছিল, রামপুরহাট স্টেশনে নেমে অন্য একটি ট্রেনে যাবেন দুমকায়। মালদা টাউন স্টেশনের ঢোকার আগেও বাড়ির লোকের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু তারপর থেকে নাকি তিনি নিখোঁজ!
এদিকে ফরাক্কা ব্রিজে দীপ্তি ব্যাগ, মোবাইল-সহ বেশ কিছু জিনিস পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক ব্য়ক্তি। সেইসব জিনিস এনটিসিপি ফাঁড়িতে জমা দেন তিনি। এরপর ওই তরুণীর বাড়িতে খবর দেয় পুলিস। এখন চরম দুঃশ্চিন্তায় পরিবারের লোকেরা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা।
এর আগে, হাওড়ায় ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। নাম, সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়। বালির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। স্ত্রী রীনা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রতিমাসে কাটিহারে তবলা শেখাতেন যেতেন সৌমিত্র। সেখানে তাঁর অনেক ছাত্রছাত্রী ছিল। কীভাবে মৃত্যু? তদন্তে নেমে গুজরাটের থেকে রাহুল জাট নামে এক সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করে পুলিস। জেরায় ধৃতের দাবি, কাটিহার এক্সপ্রেসের ওই প্রতিবন্ধী কম্পার্টমেন্টে সে ও তবলা বাদক ছাড়া আর কেউ ছিল না। কামরায় বিড়ি খাওয়ায় প্রতিবাদ করেন তবলা বাদক। আর তার জেরেই ওই তবলা বাদককে কুপিয়ে খুন করে সে। তারপর টাকা মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।