নরেন্দ্র মোদী কি আর ব্যক্তি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছেন না? ‘দিদি ও দিদি’ বা ‘শাহজাদা’ অথবা ‘ভাইপো’ আর বলবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের উদ্দেশে? বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে প্রাথমিক ভাবে মোদীর এটাই ‘লাইন’— ব্যক্তি আক্রমণের ঊর্ধ্বে উঠে প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক আক্রমণ করা।
বুধবার বারাসতের সভা নিয়ে গত ছ’দিনে বাংলায় তিনটি সভা করলেন মোদী। আরামবাগের সভায় একবার-আধবার ‘দিদি’ বলেছিলেন বটে। কিন্তু কৃষ্ণনগর আর বারাসতের সভায় সে পথে একেবারেই হাঁটেননি তিনি। বরং নেতানেত্রীদের ইঙ্গিতে আক্রমণ না করে সার্বিক ভাবে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বারাসতের মহিলা সমাবেশে বুধবার মোদী বলেন, ‘‘দেশের যেখানে ইন্ডির সরকার, সেখানেই উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। কেন্দ্র যে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিচ্ছে, সেই সরকারগুলি তা বাস্তবায়িত করতে দিচ্ছে না।’’ ‘ইন্ডিয়া’র মধ্যে রয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূলও। সেই সূত্রেই বারাসতে মোদী বলেন, ‘‘বাংলাতেও তৃণমূল নামের গ্রহণ লেগেছে। এরা কোনও উন্নয়নের কাজকে তরান্বিত করতে দিচ্ছে না। উজ্জ্বলা যোজনায় ১৪ লক্ষ মানুষের আবেদন আটকে রেখেছে রাজ্য সরকার।’’ দেশের হাতে গোনা রাজ্যে এখন অ-বিজেপি সরকার রয়েছে। বারাসতের সভা থেকে সেই রাজ্যগুলিতেও লোকসভা ভোটে পদ্ম ফোটানোর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘ইন্ডিকে হারাতে হবে! দেশের কোণায় কোণায় পদ্ম ফোটাতে হবে।’’