পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আলু পটলের মূল্যবৃদ্ধির কোন সম্পর্কই খুবই কম l পেট্রোলের দাম 100 টাকা থেকে বেড়ে 200 টাকা হয়ে গেলেও, আলু পটলের দাম খুব বেশী 25% বাড়তে পরে l কিন্তু এই দাম যখন আজ তিনগুন চারগুন হয়েছে অর্থাৎ 200% থেকে 300% বেড়েছে, তখন তার কারণ আলাদাভাবে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন l এরমূল কারণ মূলতঃ দুটি l এক, অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি দুই, ফোঁড়ে রাজ l ফোঁড়ে রাজ এই রাজ্যের এমন রোগ তৈরি করেছে যে জেলার পর জেলায় জমির মালিকরা জমি চাষ না করে ফেলে রাখছে এবং কৃষকরা অন্যরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে l কারণ দাম পাচ্ছেন না চাষীরা l অথচ বাজার দর অগ্নিমূল্য l কারণ, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে বড়বাজারের কিছু অসৎ ব্যবসায়ী l
রাজ্যকে এখনই কেন্দ্রীয় কৃষিনীতি অনুসরণ করে চাষীদের হিমঘর খোলা, বিদেশী রিটেল কম্পানিকে আমন্ত্রণ করা এবং আমুলের মত সমবায় বানিয়ে কৃষিপণ্য বিদেশে রফতানির ব্যাবস্থা করা উচিৎ l নইলে কৃষি জমি ফেলে রাখার প্রবণতা আরও বাড়বে l আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য বিহার গত 15 বছরে রফতানি বাড়িয়েছে 800 গুন l হ্যা আটশ গুন l
যে সাংবাদিকরা 10% পেট্রল ডিজেল মূল্যবৃদ্ধিকে 300% খাদ্যদ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির কারণ বলে সংবাদ পরিবেশন করছেন, তাঁদের অনুরোধ একবার কস্ট একাউন্টেন্টদের সঙ্গে সঙ্গে আলোচনা করে পরের সংবাদটা পরিবেশন করুন l (যদিও পঞ্চম শ্রেণীর যে কোন ছাত্র ছাত্রীই এই হিসেব করে দিতে পারবে)
তবু একটা হিসেব দি l পেয়াজের দাম যখন 20 টাকা, তখন পরিবহনের খরচ মেরে কেটে 3 টাকা l আর এই তিন টাকার মধ্যে চালকের মাইনে ইত্যাদি বাদ দিয়ে তেলের খরচ 90 পয়সা l যদি ডিসেলের দাম 100 থেকেবেড়ে 200 টাকাও হয়ে যায়, পেঁয়াজের দাম বাড়বে আরও 90 পয়সা মাত্র l অর্থাৎ পেঁয়াজের দাম হবে 21 টাকা l কিন্তু সেই পেঁয়াজ যদি বাজারে 40 টাকায় বিক্রি করা হয়, তবে 19 টাকা কার পকেটের গেল?
✍️✍️✍️সুদীপ্ত গুহ।