গণনার ৩ দিন আগে ভোট মোদীর কেন্দ্রে, গোটা দেশে নির্বাচনী প্রচারে অনেকটা সময় পাবেন প্রধানমন্ত্রী

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধান মুখ নরেন্দ্র মোদীই। এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত, পদ্মশিবির নির্বাচনী প্রচারে গোটা দেশেই মোদীকে সামনে রাখতে চায়। ইতিমধ্যেই বাংলায় চারটি বড় মাপের সমাবেশ করেছে বিজেপি। তার সব ক’টিতেই ছিলেন মোদী। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটঘোষণার পরে মোদী এই রাজ্যে বার বার আসবেন। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে দক্ষিণবঙ্গে আসবেন তিনি। শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশেই ঘুরতে হবে মোদীকে। তাতে অবশ্য খুব চাপ হবে না তাঁর। সাত দফার শেষ দফায় অর্থাৎ ১ জুন ভোট রয়েছে তাঁর কেন্দ্র বারাণসীতে।

PM Narendra Modi will get sufficient time for campaign as poll of Varanasi on last phase

বাংলার মতো উত্তরপ্রদেশেও সাত দফায় ভোট। তার শেষ দফাতেই ভোটগ্রহণ বারাণসীতে। ওই রাজ্যের দুই ‘ভিআইপি’ আসন রায়বরেলী এবং অমেঠীতে ভোট হবে পঞ্চম দফায়, অর্থাৎ ২০ মে। একই দিনে ভোটগ্রহণ রাজনাথ সিংহের আসন লখনউয়ে। অমিত শাহের আসন গান্ধীনগরে ভোটগ্রহণ তৃতীয় দফায়। ৭ মে একই দিন গুজরাতের ২৬ আসনে ভোটগ্রহণ। প্রসঙ্গত, গান্ধীনগর আসন বরাবরই বিজেপির। অতীতে এই আসন থেকে জিতেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। টানা পাঁচ বার জিতেছেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও।

২০১৯ সালে এই আসন থেকে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি ভোটে জিতেছিলেন শাহ। একই ভাবে মোদীও পর পর দু’বার বারাণসী আসন থেকে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। ফলে বিজেপির দুই শীর্ষনেতাকে নিজের আসনে অনেক সময় দিতেই হবে এমনটা নয়। তবুও তৃতীয় দফায় ভোট থাকায় প্রথম দিকে দেশ জুড়ে প্রচারের মধ্যে কিছুটা হলেও নিজের আসনে সময় দিতে হবে শাহকে। কিন্তু মোদীর ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই। শেষ দফার আগে পর্যন্ত এ রাজ্য থেকে সে রাজ্য করতে পারবেন অনেকটাই নিশ্চিন্তে।

অন্য দিকে, কংগ্রেসের প্রধান দুই নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা বঢরার ভোট মাঝামাঝি সময়ে। প্রিয়ঙ্কা যদি রায়বরেলীতেই প্রার্থী হন তবে তাঁর আসনে ভোটগ্রহণ পঞ্চম দফায় ২০ মে। রাহুল গত বার কেরলের ওয়েনাড় আসন থেকে জিতেছিলেন। সেখানে ভোটগ্রহণ দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.