কাশ্মীর সহ দেশের উত্তরে বীরদর্পে দাপট দেখাচ্ছে শীত। তবে ঝঞ্ঝার প্রকোপে বাংলা থেকে ধীরে ধীরে উধাও হচ্ছে শীত। রাতের দিকে ঠান্ডা কমছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এই আবহে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আর হয়ত এই মরশুমে তাপমাত্রার পারদ নামবে না বঙ্গে। এদিকে শনিবার তুষারপাতের সাক্ষী থাকল কাশ্মীর, হিমাচলের একাংশ। আগামী আরও বেশ কয়েকদিন তুষারপাত হতে পারে উত্তর ভারতে। তবে বাংলায় শীতের আমেজ নেই। পৌষের বিদায়বেলায় এবং মাঘের শুরুতেই শীতের আমেজ শেষ হয়ে দেখা দেবে বৃষ্টির সম্ভাবনা৷
রবিবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করবে। অন্যদিকে শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের তুলনায় যা প্রায় দুই ডিগ্রি বেশি। এদিকে বাতাসে ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বলীয়বাষ্পের পরিমাণ। এর জেরে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে ৯৮ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার দাপট আপাতত থাকবে। এদিকে আগামী সপ্তাহে বৃষ্টি হলেও আজকে আবহাওয়া শুষ্ক এবং রৌদ্রোজ্জ্বল থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি তাপমাত্রা আবার কিছুটা কমতে পারে বলে আশা আবহাওয়াবিদদের। তবে তাতে শীত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোনও ইঙ্গিত নেই।
জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই শীতের রোদের মিঠে আমেজ উধাও হতে চলেছে বঙ্গে। এদিকে সোমবার থেকেই বৃষ্টির ভ্রুকুটি রাজ্য জুড়ে। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হতে পারে কালকে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।