গত বছর জকোভিচকে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কার্লোস আলকারাজ। শুক্রবার জকোভিচ ৬-৪, ৭-৬ (৭/২), ৬-৪ গেমে লরেঞ্জো মুসেত্তিকে হারিয়ে দশমবারের মতো উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেছিলেন কিন্তু শেষরক্ষা হল না। উইম্বলডনের সবুজ ঘাসে আলকারাজের (Carlos Alkaraz)কাছে পরাস্ত হলেন জকোভিচ (Novak Djokovic)।
গত বছর ফাইনালে পাঁচ সেটের রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল হয়েছিল দু জনের মধ্য়ে। কিন্তু এবার একেবারে একপেশে ফাইনালে সার্বিয়ান কিংবদন্তিকে ৬-২,৬-২, ৭-৬ (৪) হারালেন আলকারাজ। চেনা পরিচিত লড়াকু জকোভিচকে দেখা গেল না গোটা ম্যাচ জুড়েই। উল্টোদিকে রবিবারের ফাইনালের শুরু থেকেই অদম্য দেখাল স্পেনীয় তারকাকে।
২১টি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী রাফায়েল নাদালও যেটি পারেননি, সেটা করে দেখালেন আলকারাজ। স্পেনের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পরপর দু’বার উইম্বলডন খেতাব জিতলেন তিনি। সবমিলিয়ে মাত্র ২১ বছর বয়েসে চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন স্প্যানিশ তরুণ। এদিন ফাইনালের শেষে কোর্টেই কেঁদে ফেললেন ২৪টা গ্র্যান্ডাস্লাম জয়ী জকোভিচ। এদিন জিতলে অষ্টমবার উইম্বলডন খেতাব জিততেন জোকার। রজার ফেডেরারকেও ছুঁয়ে ফেলতেন তিনি। কিন্তু হল না। প্রসঙ্গত, বিশ্বের ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে একই বছরে উইম্বলডন ও ফরাসি ওপেন জেতার নজির গড়লেন আলকারাজ। এর আগে এই নজির গড়েন- রড লেভার (১৯৬৯), বিয়ন বর্গ (১৯৭৮-৮০), রাফায়েল নাদাল (২০০৮,২০১০) , রজার ফেডেরার (২০০৯), নোভাক জকোভিচ (২০২১)।
আজকের ম্যাচ থেকেই স্পষ্ট যে জকোভিচ, নাদাল পরবর্তী যুগে আলকারাজই রাজ করবেন। এদিন ম্যাচের পরে জোকার বলেন, “এই রেজাল্ট আমি প্রত্যাশা করিনি। তবে কৃতিত্ব কার্লোস আলকারাজেরই। ও দুর্দান্ত সার্ভিস করেছে। নেটের সামনেও ছিল দুর্দান্ত। আমি তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে খেলাটাকে আরও একটু প্রলম্বিত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দিনটা কার্লোসেরই। ও দুর্দান্ত খেলেছে।”