উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে জিমি কোনার্সকে ছুঁলেন নোভাক জোকোভিচ। এই নিয়ে বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামে মোট ৮৪ তম ম্যাচ জিতলেন তিনি। সর্বকালীন তালিকায় যুগ্ম ভাবে উঠে এলেন দ্বিতীয় স্থানে। যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে পাঁচ সেট লড়াই করতে হল তাঁকে। দু’সেট পিছিয়ে প়ড়ার পর হারালেন ২০ বছরের ইয়ানিক সিনারকে।
কষ্টার্জিত জয়ের পর জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘দু’সেট পিছিয়ে পড়ার পর নিজেই নিজেকে তাতানোর চেষ্টা করি। নিজেকে পেপ টক দিয়েছি। প্রথম দু’টো সেট দেখুন আর শেষ তিনটে সেট দেখুন। আমরা আসলে দু’টো আলাদা আলাদা ম্যাচ খেলেছি। মানতেই হবে প্রথম দু’টো সেটে সিনার আমার থেকে অনেক ভাল খেলেছে।’’ কী ভাবে ফিরলেন লড়াইয়ে? জোকার বলেছেন, ‘‘একটু কোর্টের বাইরে গেলাম। শৌচালয়ের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে পেপ টক দিলাম। একটু তরতাজা হয়েই ফিরে এলাম। তারপর সবাই দেখতেই পেলেন।’’
উইম্বলডনে মোট জয়ের ক্ষেত্রে জোকোভিচ এবং কোনর্সের আগে রয়েছেন রজার ফেডেরার। তিনি উইম্বলডনে মোট ১০৫টি ম্যাচ জিতেছেন। মঙ্গলবারের জয় জোকোভিচের উইম্বলডনে টানা ২৬ তম। সেমিফাইনালে জয় পেলে নিজের পুরনো রেকর্ডকে উন্নত করবেন তিনি। ২০১৮ সাল পর্যন্তও তিনি টানা ২৬টি ম্যাচ জিতেছিলেন। যদিও উইম্বলডনে টানা জয়ের নিরিখে জোকার রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। তাঁর আগে রয়েছেন বিয়ন বর্গ (৪১), রজার ফেডেরার (৪০) এবং পিট সাম্প্রাস (৩১)।
এই নিয়ে ১১ বার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠলেন জোকোভিচ। ২০১৩ সালের পর কখনও উইম্বলডনের সেমিফাইনালে হারেননি তিনি। এক মাত্র ফেডেরার তাঁর থেকে বেশি ১৩ বার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠেছেন। এর আগে ১০ বার সেমিফাইনাল খেলে সাত বারই জয় পেয়েছেন জোকার। এবারও খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার প্রতিযোগিতার শীর্ষ বাছাই।