শ্রীলঙ্কাকে সহজে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে নিউ জ়ল্যান্ড। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কেন উইলিয়ামসনদের সরকারি ভাবে সেমিফাইনালে যাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। বিষয়টি অজানা নয় নিউ জ়িল্যান্ড শিবিরের। উইলিয়ামসনেরা জানেন সেমিফাইনালের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ভারত। সেটাই তাঁদের তাতাচ্ছে বিশ্বকাপের শেষ পর্যায় এসে।
বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী, রাউন্ড রবিন লিগের শেষে শীর্ষে থাকা দল এবং চতুর্থ স্থানে থাকা দল প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলবে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে থাকা দল। বৃহস্পতিবার নিউ জ়িল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী ১৫ নভেম্বর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালের দু’দল ভারত এবং নিউ জ়িল্যান্ড।
শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর উত্তেজিত নিউ জ়িল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘‘আশা করি, আমরা দিন দুয়েক বিশ্রাম নিতে পারব। আমরা হয়তো ঘুরে বেড়াব। কী করব সত্যিই জানি না। সেমিফাইনালে আমাদের হয়তো বিশ্বকাপ আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। সন্দেহ নেই বেশ কঠিন হবে ম্যাচটা। বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা সামনে তাকাতে চাই। সত্যিই সেটা হলে আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করব।’’
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সহজ জয় এলেও, নিউ জ়িল্যান্ডের ইনিংসে কিছুটা সময় অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না উইলিয়ামসন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের পারফরম্যান্স ভালই হয়েছে। মাঝের ওভারগুলোয় আমাদের স্পিনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়েছে। উইকেট একটু মন্থর ছিল। তবে ছেলেরা ভাল চেষ্টা করেছে। সামগ্রিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্সই বলব। পরের দিকে আবহাওয়া সমস্যা করতে পারে, এমন একটা সম্ভাবনা ছিল। তাই যতটা দ্রুত সম্ভব ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলাম আমরা। সেটা অনেকটাই পেরেছি। তাই পরের ম্যাচগুলোর আগে আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।’’
উইলিয়ামসন ধরেই নিয়েছেন তাঁরা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলছেন। কারণ চতুর্থ দল হিসাবে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়া কার্যত অসম্ভব।