গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে কুড়ি-বিশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। গত সপ্তাহে আচমকা টেস্ট ক্রিকেট থেকেও অবসর নিয়েছেন তিনি। বাকি রয়েছে আর একটি ফরম্যাট। ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি অবসরের পর কি কোচ হবেন কোহলি? ভবিষ্যদ্বাণী করলেন রবি শাস্ত্রী। কী বলেছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ?
কোহলির সঙ্গে শাস্ত্রীর সম্পর্ক বেশ ভাল। ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কোহলি ভারতের অধিনায়ক থাকাকালীন বেশির ভাগ সময়েই কোচ হিসাবে পেয়েছেন শাস্ত্রীকে। তাঁদের আক্রমণাত্মক মানসিকতা সফল হয়েছিল। কোহলিকে ভাল ভাবে চেনেন শাস্ত্রী। সেই শাস্ত্রী বলেছেন, “এখনও ভারতের হয়ে ও এক দিনের ক্রিকেট খেলবে। কিন্তু আমি জানি, ক্রিকেট থেকে অবসরের পর বিরাট চুপচাপ সরে যাবে। ও এমন নয় যে কোচ হতে চাইবে বা ধারাভাষ্যকার হতে চাইবে। ক্রিকেট থেকেই সরে যাবে বিরাট।”
জুন মাসে ভারতের ইংল্যান্ড সফরে থাকবেন না কোহলি। তাঁর অভাব বোধ করবেন শাস্ত্রী। ভারতের প্রাক্তন কোচ বলেন, “ভারত যখন ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে তখন আমি বিরাটকে মিস্ করব। ও এক জন চ্যাম্পিয়ন। আমি সেটাই সব সময় মনে রাখতে চাই। কোনও দিন কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়েনি বিরাট।”
২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে পাঁচ টেস্টে মাত্র ১৩৪ রান করেছিলেন কোহলি। অথচ পরের সফরেই পাঁচ টেস্টে ৫৯৩ রান করেছিলেন তিনি। এজবাস্টন ও ট্রেন্টব্রিজে শতরান করেছিলেন। যে জেমস অ্যান্ডারসন আগের বার তাঁকে সমস্যায় ফেলেছিলেন, সেই অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে পরের বার দাপট দেখিয়েছিলেন কোহলি। সেই উদাহরণ টেনে শাস্ত্রী বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, মানসিক ভাবে কতটা শক্তিশালী কোহলি। নইলে ও ভাবে নিজেকে বদলে ফেলতে পারতেন না তিনি।
গত ১২ মে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন কোহলি। তাঁকে নিয়ে আগেও মুখ খুলেছেন শাস্ত্রী। তবে সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কোহলিকে ইংল্যান্ডে শেষ বার খেলতে দেখার জন্য তিনি মুখিয়ে ছিলেন। মানসিক ক্লান্তির কারণে কোহলি সরে গিয়েছেন বলে তাঁর মত। শাস্ত্রী বলেছেন, “আমি নিশ্চিত কোহলি আরও অন্তত দু’বছর টেস্ট খেলতে পারত। এ বার ইংল্যান্ডে ওকে দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। ওকেই অধিনায়ক নির্বাচন করা হলে ভাল হত। তবে কখন ছাড়তে হবে সেটা ঠিক করার জন্য কোহলিই আদর্শ।”
শাস্ত্রী যোগ করেছেন, “হয়তো মানসিক ক্লান্তির কারণেই কোহলি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ দলের বাকি যে কোনও ক্রিকেটারের থেকে ও বেশি ফিট। নিজের শরীর নিজে ভাল চেনে। মনের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। না হলে এই সঙ্কটজনক সময়ে ও টেস্ট খেলা ছাড়ত না।”