আইপিএল আবার শুরু হলে কামিন্সেরা কি আসবেন খেলতে? সংশয়ে দলগুলি

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি স্বস্তি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই)। মে মাসের মধ্যেই আইপিএল শেষ করতে চান বোর্ড কর্তারা। সম্ভাব্য সূচি নিয়ে আলোচনা চলছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে। তবে একটি সংশয়ও থাকছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে এসে খেলতে কি রাজি হবেন বিদেশি ক্রিকেটারেরা? আসবেন বিভিন্ন দলের বিদেশি কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফেরা? অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু ক্রিকেটার এই মুহূর্তে আর এ দেশে আসতে চাইছেন না।

গত শুক্রবার এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিত করে দেয় বিসিসিআই। বিদেশি ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের আবার ফিরিয়ে আনতে হবে আইপিএল ঠিকঠাক ভাবে শেষ করতে হলে। আর তা নিয়ে চিন্তায় বোর্ড এবং ১০টি দলের কর্তৃপক্ষ।

আইপিএলের দলগুলিতে ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে অস্ট্রেলীয়র সংখ্যা কম নয়। রিকি পন্টিং, প্যাট কামিন্স, মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্ক, ট্রেভিস হেড আবার এই সময়ে ভারতে ফিরুন, তা চাইছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কারণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগও (পিএসএল)। সেখানেও বেশ কয়েক জন অস্ট্রেলীয় যুক্ত। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও টড গ্রিনবার্গ বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফদের নিরাপত্তা। বিসিসিআই আইপিএল বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও। নজর রাখছি পরিস্থিতির উপর।’’ পন্টিং, কামিন্সদের আবার ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

শুধু নিরাপত্তা নয়, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে ভাবাচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও। ১১ জুন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেতাবি লড়াই ইংল্যান্ডের লর্ডসে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই টেস্টকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন। অস্ট্রেলীয় কর্তারা চান না আইপিএলের জন্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রস্তুতি বিঘ্নিত হোক। ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ছোটখাটো চোট সারানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের বেশ কয়েক জন নিয়মিত সদস্য আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত। তাই বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত জানার পরই এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন অস্ট্রেলীয় কর্তারা।

শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, মে মাসের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক সূচি রয়েছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়েরও। টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকাও। এই সব দেশের ক্রিকেট সংস্থার সিদ্ধান্তের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে আইপিএলের শেষাংশর আকর্ষণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.