ফের একবার রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকল ভারত। তবে ধীরে ধীরে ভারতের ‘সুর’ বদল বচ্ছে ইউক্রেন ইস্যুতে। এর আগে এই ইস্যুতে বিবৃতি প্রকাশের সময় ভারত প্রতিবার ‘সব পক্ষের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ’-এর কথা উল্লেখ করত। তবে বিগত তিন দফায়, ভারতের বিবৃতিতে এই ‘উদ্বেগ’-এর কোনও উল্লেখ নেই। উল্লেখ্য, এই ‘উদ্বেগ’ বলতে খুব সম্ভবত রাশিয়ার ‘চিন্তা’র কথা বোঝাত ভারত। তবে ক্রমেই সেই সুর বদল হচ্ছে ভারতের। তবে এখনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত। এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয় বিশেষ সাধারণ ডাকার বিষয়ে। তাতে ভারত ছাড়াও চিন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ভোট না দেওয়ার যুক্তি দিয়ে ভারত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।
রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে নিরাপত্তা পরিষদের গত বৈঠকের পর ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। আমরা ফের একবার অবিলম্বে সব হিংসা বন্ধের ডাক দিচ্ছি। আলোচনা ও কূটনীতির পথে ফিরে আসা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
তিরুমূর্তি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে রখা বলেছেন। তিনি তাঁদেরকেও আলোচনা ও কূটনৈতিক পথ বেছে নিতে বলেছেন। এই আবহে দুই দেশই য়ে বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় সম্মত হয়েছে, এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।’ সরাসরি রাশিয়ার নাম না নিয়েও ভারতীয় দূত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন, রাষ্ট্রসংঘের চার্টার এবং অন্য দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মানের নিরখে বর্তমান বিশ্ব চলে। আমরা সবাই এই নীতিগুলোকে গ্রহণ করেছি।’
এরপর ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় পড়ুযাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। সীমান্তে অনিশ্চয়তার জেরে আমাদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। সব বিষয় বিবেচনা করে ভারত এই ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’