সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করে এ বার ‘আসল শিবসেনা’ বেছে নিতে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একানাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীকে শুক্রবার নোটিস পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফে। শিবসেনার প্রতীক ‘তির-ধনুক’ কেন তাঁর হাতে থাকবে, সে বিষয়ে উপযুক্ত যুক্তি ও নথি পেশ করতে বলা হয়েছে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের ছেলেকে।
শনিবার বেলা ২টোর মধ্যে ওই নোটিসের কৈফিয়ত তলব করেছে কমিশন। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে আসন্ন উপনির্বাচনের শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক বণ্টনের অধিকার চেয়ে কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল শিন্ডে শিবির। তারই জেরে এই নোটিস। কিন্তু কেন উদ্ধব শিবিরকে তথ্যপ্রমাণ পেশের জন্য মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।
গত জুনে উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন শিন্ডে-সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ শিবসেনা বিধায়ক। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়েন উদ্ধব। এর পর বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করেন শিন্ডে। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ইস্তক শিবসেনার রাশ কার হাতে থাকবে, এ নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে চলছে লড়াই। শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারানোর সাড়ে তিন মাস পরে শীর্ষ আদালতের অনুমোদনে কমিশনের এই ‘তৎপরতা’র জেরে উদ্ধব এ বার দলের ‘নিয়ন্ত্রণও’ হারাতে পারেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে।
কে প্রকৃত শিবসেনা, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশনের হাতে না যায়, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল উদ্ধব গোষ্ঠী। কিন্তু গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ‘প্রকৃত শিবসেনা’ বাছার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয় কমিশনকে।