অতিরিক্ত পদ তৈরি এবং তা থেকে সরে আসার নেপথ্যে মাথা কে? রিপোর্ট কি পেশ হবে শীর্ষ কোর্টে?

স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে রাজ্য সরকার প্রথমে অতিরিক্ত পদ তৈরি করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশন কলকাতা হাই কোর্টে এ বিষয়ে আবেদন করেও পরে তা ফেরাতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে। এ সবের পিছনে কার মাথা কাজ করছে, তার খোঁজে হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।

রাজ্য সরকারের পরে এ বার স্কুল সার্ভিস কমিশনও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল। অন্য দিকে, চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে সিদ্ধার্থ লুথরা ও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন, সিবিআই এ বিষয়ে হাই কোর্টে যে বিবৃতি জমা দিয়েছে, তা-ও সুপ্রিম কোর্টে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হোক। কারণ, সিবিআই জানিয়েছিল, অতিরিক্ত পদ তৈরির আবেদন ও পরে তা থেকে সরে আসার পিছনে কার মাথা কাজ করছে, তা তারা চিহ্নিত করে ফেলেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভি রামাসুব্রমণিয়ন জানান, এ বিষয়ে ২৪ মার্চ শুনানি হবে। সিবিআইয়ের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হবে কি না, তা তখনই খতিয়ে দেখা হবে।

স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় শিক্ষা দফতর প্রথমে অতিরিক্ত পদ তৈরির ঘোষণা করে। স্কুল সার্ভিস কমিশন আদালতে তার জন্য আবেদন করেও পরে তা প্রত্যাহারের আবেদন করতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে। সেই আবেদনে কারও নাম ছিল না। এর পিছনে কার মাথা কাজ করছে, তা নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চ তা বহাল রাখার পরে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট ওই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। আজ কমিশনের আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁরাও হাই কোর্টের রায় খারিজের আবেদন জানিয়েছেন। কমিশন রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোর্টে আবেদন করেছিল। শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন নিজেই রাজ্যের সিদ্ধান্ত হাই কোর্টে গিয়ে জানিয়ে এসেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.