বড়দিনের মতোই বর্ষশেষে ভিড়ের লড়াইয়ে জোর টক্কর ছিল চিড়িয়াখানা এবং ইকো পার্কের মধ্যে। আর ছ’দিন আগের মতোই এ বারেও শেষ পর্যন্ত সেরার মুকুট ধরে রাখল চিড়িয়াখানা। তবে সব মিলিয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যার হিসাবে বড়দিনের কাছে হেরে গেল বর্ষশেষের উৎসব।
শহরের অন্দরে চিরাচরিত চিড়িয়াখানা-ভিক্টোরিয়ার শীত-পার্বণে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরেই অন্যতম সেরা আকর্ষণ হয়ে উঠেছে নিউটাউনের ইকো-ট্যুরিজ়ম পার্ক। বছরের শেষ দিনটিতে ইকো পার্কে ‘বিশ্বের সাত বিস্ময়’ না কি চিড়িয়াখানার অ্যানাকোন্ডা, মাউস ডিয়ার চাক্ষুষ করার মজা— বেছে নেওয়া সহজ কাজ ছিল না কলকাতার জন্য। শেষ পর্যন্ত আলিপুরের না-মানুষীদের আকর্ষণ টেক্কা দিয়েছে।
শেষ বেলায় চমকপ্রদ ভাবে নিউ টাউনের নতুন ‘মিনি জু’ (পোশাকি নাম ‘হরিণালয়’) ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলেছে ইকো পার্কের। পরিসংখ্যান বলছে, মঙ্গলবার আলিপুর চিড়িয়াখানায় ৪০ হাজার ৬৪২, নিউটাউন ইকো পার্কে ৩১ হাজার ৬৯৮ এবং নিউটাউন হরিণালয়ে ৩০ হাডজার দর্শনার্থী এসেছেন। অন্য দিকে, ভিক্টোরিয়ার এসেছেন ২৩ হাজার ৭৩৮ জন দর্শনার্থী। জাদুঘরে ৯৭০০ জন। প্রসঙ্গত, এ বারের বড়দিনে চিড়িয়াখানায় ৭০ হাজার ২২৬ জনের ভিড় জমেছিল। ইকো পার্কে ৫৫ হাজার।