প্রাথমিকে নিয়োগের মাপকাঠি নিয়ে দায়ের মামলায় শনিবার গরমাগরম শুনানি হল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরত তিন পক্ষই। তবে এব্যাপারে এখনো কোনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি আদালত।
প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকতা করার জন্য বিএড ডিগ্রিধারীরাও যোগ্য। NCERT-র এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যায় ডিএলএড ডিগ্রিধারীরা। তাদের দাবি, এর ফলে ডিএলএড ডিগ্রিধারীদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, বিএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার সুযোগ পাবেন। তবে তাদের স্নাতকে থাকতে হবে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর। এতেও নানা প্রশ্ন ওঠে। চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, কেউ যদি স্নাতকে ৫০ শতাংশের কম কিন্তু স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশের বেশি পান তাহলে কী হবে? যারা ইতিমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু ৫০ শতাংশ পাননি তাঁদের যোগ্যতামান কী করে নির্ধারণ করা হবে?
শনিবার এসব নিয়েই টানা ৫ ঘণ্টা শুনানি হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। নিজেদের বক্তব্য আদালতের সামনে তুলে ধরে সব পক্ষ। তবে এদিন শুনানি শেষ হয়নি। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মাসে।
ডিএলএড চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা প্রাথমিকে চাকরির আশায় এই যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। পরে সরকার বিএডদেরও প্রাথমিকের জন্য যোগ্য ঘোষণা করায় তাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ হচ্ছে।