শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক দুর্নীতির উৎস খুঁজতে এবার ময়দানে নামল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি ও প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে যে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে তা কোথা থেকে এসেছে আর কোথায় গিয়েছে জানতে চায় তারা। সেজন্য ২টি FIR দায়ের করেছে তারা। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ৫ জনকে জেরাও করেছেন ইডির গোয়েন্দারা।
ইডি সূত্রে খবর, প্রাথমিক, গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি নিয়োগে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। মোটা টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছে নিয়োগপত্র। অনেকক্ষেত্রে পরীক্ষা না দিয়ে বা সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছে তারা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কারা সংগ্রহ করল ও কার কাছে গেল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি।
ইডি জানিয়েছে, তিনটি নিয়োগ দুর্নীতিতে লেনদেনের উৎস ও গন্তব্য খুঁজতে ২টি FIR দায়ের হয়েছে। টাকা কাদের কাছে গেল তা জানতে চান গোয়েন্দারা। সেজন্য ইতিমধ্যে ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। তলব করেছে আরও ২ জনকে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ও গ্রুপ ডি – গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার মধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের মুখে উঠে এসেছে ‘রঞ্জন’-এর নাম। সেই ‘রঞ্জন’-এর ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতির তদন্তে নেমে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।