সেনাছাউনি থেকে কোথায় উধাও হয়ে গেলেন প্রৌঢ়! মণিপুরে নিখোঁজ রহস্যের তদন্তে এ বার সিবিআই?

সেনাছাউনিতে কাজ করতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান বছর ছাপ্পান্নর এক প্রৌঢ়। এক মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ওই নিখোঁজ মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের উপর দিতে চাইছে মণিপুর সরকার। শনিবার এ কথা জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ।

নিখোঁজ প্রৌঢ়ের নাম লইশরাম কমল বাবু। এক ঠিকাদার সংস্থার হয়ে মণিপুরের কাংপোকপি জেলার লেমাখঙে সেনাছাউনিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। গত ২৫ নভেম্বর সেনাছাউনির কাজ শেষের পর রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। সেনার তরফে খোঁজাখুঁজি করা হলেও কোনও লাভ হয়নি। কাংপোকপি হল কুকি জনজাতি অধ্যুষিত একটি জেলা। নিখোঁজ প্রৌঢ়ের পরিবারের অভিযোগ, কুকি জনজাতির সশস্ত্র গোষ্ঠী তাঁকে অপহরণ করে নিয়েছে। তা নিয়ে মণিপুর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন লইশরামের পরিবার।

হাই কোর্টের নির্দেশে কাংপোকপির জেলাশাসক মহেশ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মনোজ প্রভাকরকে নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে মণিপুর হাই কোর্ট। সেনার ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশনের মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক (সিএসও) এবং ইম্ফল পশ্চিমের পুলিশ সুপারকেও রাখা হয় ওই কমিটিতে। কিন্তু ওই প্রৌঢ়ের নিখোঁজ-রহস্যের এখনও পর্যন্ত কোনও কিনারা হয়নি। এই আবহে শনিবার মণিপুর সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন।

মণিপুরের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাছাউনিতে কর্মরত ঠিকাদার সংস্থার কর্মীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায়, তা বিতর্ক বৃদ্ধি করেছে। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মণিপুর সরকারকেও। নিখোঁজ ওই প্রৌঢ় মেইতেই জনজাতির। তাঁর বাড়ি অসমে। কাজের সূত্রে গিয়েছিলেন মণিপুরের সেনাছাউনিতে। গত বছরের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত মণিপুর। এ পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.