আগামী মাসে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। সেই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। তাই এখনই রাজ্যে চালু হচ্ছে না লোকাল ট্রেন। এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১৬ মে থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ আছে। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ চালু করা হলেও লোকার ট্রেন চালু করার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। তা নিয়ে আমজনতার মনে যথেষ্ট ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। অনেকেরই প্রশ্ন, সবকিছু যখন খোলা আছে, তাহলে শুধু লোকাল ট্রেনেই আপত্তি কেন?
সেই ক্ষোভের আঁচ করে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা কম আছে। কিন্তু প্রতিষেধকের অভাবে গ্রামের দিকে টিকাকরণ আশানুরূপ হয়নি। কলকাতা লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার মতো জেলায় ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হলেই লোকাল ট্রেন চালু করে দেওয়া হবে। কিছুটা সময় নেওয়া হচ্ছে। মমতা বলেন, ‘অনেকে আমায় প্রশ্ন করছেন, লোকাল ট্রেনটা চলছে না। টিকাটা আমি যতক্ষণ না গ্রামেগঞ্জে দিতে পারব, এর (করোনাভাইরাস) প্রকোপ তো বাড়বে। এখন থেকে তো নিয়ন্ত্রণে করতে হবে। আমি জানি মানুষের কষ্ট হচ্ছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘একটাই সমস্যা। সেপ্টেম্বরে একটা তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। আমি জানি, মানুষের অভাব-অভিযোগ আছে। কিন্তু আপনার জীবনের থেকে বেশি কিছু দামি নয়। তাই আর কয়েকটা দিন আমাদের কষ্ট করতে হবে বন্ধু।’
মমতার বক্তব্য, লোকাল ট্রেন না চললেও মেট্রো, বাস এবং অন্যান্য গণপরিবহন চলছে। তাই ট্রেন চালিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। কেন বাস এবং মেট্রোর মতো নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনে যেতে বললাম। কিন্তু দেখলাম গাদাগাদি করে যাচ্ছে।’