লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা কবে হবে, তা জানিয়ে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই)। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ৩টেয় নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। একই দিনে চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্টও প্রকাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্রের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে এই তথ্য জানানো হয়। পরে পোস্টটি শেয়ার করা হয় নির্বাচন কমিশনের এক্স হ্যান্ডলে। কমিশনের তরফে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, সিকিম এবং ওড়িশায় বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।
এক্সের পোস্টে লেখা হয়, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ‘কিছু’ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে শনিবার দুপুর ৩টেয়। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও রাজ্যের নাম লেখা হয়নি। কমিশনের তরফে সমাজমাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠকটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচনের দিনঘোষণার পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোট-দামামা বেজে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। চালু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণবিধি বা মডেল কোড অফ কনডাক্ট (এমসিসি)।
ক’দফায় ভোট হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে সাত দফায় ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল নয় দফায়। রাজ্যেও অতগুলি দফাতেই ভোট হয়। কলকাতায় কমিশনের ফুল বেঞ্চ ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এলে এক দফায় নির্বাচন করার দাবি তুলেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের জোড়া শূন্যপদে দুই অবসরপ্রাপ্ত আমলাকে নিয়োগ করা হয়। দেশের দুই নির্বাচন কমিশনারের পদে আসেন সুখবীর সিংহ সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমার। এই দুই শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। লোকসভার বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা হিসাবে কমিটিতে ছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও।
প্রসঙ্গত, দেশে এক জন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ মোট তিন জন নির্বাচন কমিশনারের থাকার কথা। এত দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অরুণ গয়ালই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তৃতীয় নির্বাচন কমিশনারের পদটি দীর্ঘ দিন ধরেই শূন্য। কিন্তু গত শনিবার হঠাৎই ইস্তফা দেন অরুণ। সূত্র মারফত জানা যায়, রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে অরুণ জানান, তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণে’ পদত্যাগ করছেন। তবে তাঁর ইস্তফার ‘নেপথ্য’ কারণ নিয়ে চর্চা অব্যাহত থাকে। লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অবশেষে শূন্যপদ পূরণের পর দিনই ভোট ঘোষণার দিনক্ষণ জানানোর তারিখ জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।