চেন্নাই বিমানবন্দরে অমিত শাহ যখন নামলেন, তখন অন্ধকারে ডুবে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও নেই বিদ্যুতের সংযোগ। সেই অবস্থাতেই চেন্নাই শহরের উদ্দেশে ছুটল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথার লড়াই শুরু হয়ে গেল তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে এবং বিজেপির মধ্যে। ডিএমকে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, অমিত শাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ ছিল। তামিলনাড়ু বিজেপির তরফে এই ঘটনায় তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলে ডিএমকে-র তরফে বলা হয়েছে, তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের বিপুল চাহিদা রয়েছে। পাওয়ার গ্রিডগুলোর উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণেই বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়ে তাদের দাবি, এর মধ্যে অন্য কোনও অভিসন্ধি বা চক্রান্ত ছিল না। কিন্তু বিজেপি ডিএমকে-র এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। এই প্রসঙ্গে তামিলনাড়ু বিজেপির সহ সভাপতি কারু নাগারাজন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “এক জন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আমাদের দলের নেতা বিমানবন্দরে নামার সময় কী ভাবে বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে? এর তদন্ত হওয়া উচিত।”
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে ডিএমকে মুখপাত্র টিকেএস এলানগোভান বলেন, “অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন বিদ্যুতের চাহিদা বেশি। তাই মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।” তারপরই বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বিজেপি চাইলে এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দিতে পারে। এটা নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে ওরা।” তামিলনাড়ুর বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের লাইন আছে, তা পাওয়ার গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াতেই এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় কিছু সময় পরেই।
বিজেপি সূত্রে খবর, দু’দিনের সফরে গুজরাত, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ— এই চার রাজ্যে যাবেন শাহ। শনিবার রাত ৯টা ২০টে চেন্নাইয়ে পৌঁছন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় ভেলোরে একটি জনসভা করে অন্ধ্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন শাহ।