থমকে গেল হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বের সমস্ত দেশে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বন্ধ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ হঠাৎ করেই গোলমাল শুরু হল হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবায়। ফেসবুকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘মেটা’র এই ম্যাসেঞ্জার পরিষেবা ভারতে বিপুল ভাবে ব্যবহার করা হয়। এমনকি বিভিন্ন অফিসের কাজের ক্ষেত্রেও এই পরিষেবা ব্যবহার করা হয়। আচমকা পরিষেবা থমকে যাওয়ায় কাজে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। দেশ জুড়ে ব্যবহারকারীরা অভিযোগ জানাতেও শুরু করেন। সমস্যায় পড়েন কোটি কোটি গ্রাহক। তবে এই ঘটনায় তাঁদের আশ্বস্ত করেছে মেটা। একটি বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, তারা বিষয়টি জেনেছে এবং যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবা ঠিক করার চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপে গোলমাল শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১১ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী হোয়াটস্যাপের গোলযোগের কথা জানান বলে সূত্রের খবর। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে সেই অভিযোগ। অনেকেই জানান, হোয়াটস্যাপ গ্রুপে পাঠানো বার্তা ডেলিভার হচ্ছে না। কেউ আবার বলেন, ব্যক্তিগত ভাবে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা সিঙ্গল টিক থেকে ডবল টিক হচ্ছে না। তবে সার্বিক ভাবে যে বার্তা আদান-প্রদানে বড় রকমের সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা তা স্পষ্ট ছিল। তবে কেন এমন হচ্ছে, তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি মেটার তরফে। যদিও দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে তারা।
সাধারণত পরিষেবায় গোলমাল দেখা দিলে টুইটারে হোয়াটসঅ্যাপের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে এ ব্যাপারে আপডেট দেওয়া হয়। দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত সেখানেও এ ধরনের কোনও কারণ ব্যাখ্যা করতে দেখা যায়নি। পরে দুপুর দেড়টা নাগাদ বিবৃতি জারি করা হয় মেটার তরফে।সেই বিবৃতিতে তারা গোলমালের কারণ না জানালেও, বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশ জুড়ে হোয়াটসঅ্যাপের সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার কারণেই এই গন্ডগোল দেখা দিয়েছে।
তবে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন, মঙ্গলবার অফিসের ব্যস্ত সময়ে হোয়াটসঅ্যাপের এই পরিষেবাজনিত গোলযোগে রীতিমতো সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ দেশে সরকারি বিভিন্ন কাজের সুবিধার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ চালু না হওয়ায় তাই সমস্যা দেখা দেয় কাজের ক্ষেত্রে। তবে হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটা-র তরফে আশ্বস্ত করায় আপাতত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা।