সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন স্কুলে কর্মরত ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। আদালতের রায়ে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে বহু শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীর। ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার স্কুল সার্ভিস কমিশন। শনিবার সেই মামলার শুনানি দিন জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানি হবে আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল। ঐদিন প্রায় ২৬ হাজার চাকরি হারার ভবিষ্যৎ কী হতে পারে তা জানা যাবে। এই বেঞ্চে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
সোমবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সাব্বার রাশিদি ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল, মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি যারা চাকরি পেয়েছিলেন তাদেরকে তাদের প্রাপ্ত পুরো বেতন বার্ষিক ১২ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এই ইস্যুতে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্ট ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। যা নিয়ে খুশি নন বলে জানিয়েছিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। নানা মহলেই প্রশ্ন উঠেছে কেন অযোগ্যদের জন্য যোগ্যরা চাকরি হারা হবেন। অযোগ্যদের চার থেকে পাঁচ হাজার জনের নাম ছিল তালিকায়। সেখানে ২৬ হাজারের চাকরি চলে গেল। যদিও হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য সরকার অযোগ্যদের নামের তালিকা জমা না দেওয়ার কারণেই বাধ্য হয়ে এই রায় দিয়েছে আদালত।
এরপর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন এসএসসি। মামলা গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। শনিবার শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আগামী ২৯ তারিখ দুপুর ১২টা নাগাদ শুনানি শুরু হবে এই মামলার। এই শুনানি এখন শেষ ভরসা সদ্য যোগ্য চাকরি হারা শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীদের। এখানেই নির্ধারিত হবে তাদের ভাগ্য।