হরিদ্বারের ‘ধর্ম সংসদ’ বিতর্কে কি আরও নাম সামনে আসতে পারে! কী বলছে পুলিশ?

উত্তরাখণ্ডের বুকে হরিদ্বারে আয়োজিত ধর্ম সংসদের ভিডিয়ো ক্লিপ (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস) বিতর্ক কার্যত তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক ময়দান এই ইস্যুতে সরগরম হয়েছে। সামনেই রয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, এই নয়া বিতর্কে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে অভিযোগ। জিতেন্দ্র ত্যাগীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের হলেও, উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজিপি জানিয়েছেন, ‘তদন্ত শুরু এগোলেই অভিযুক্তের তালিকায় আরও নাম সংযুক্ত হবে।’

জানা গিয়েছে, পুলিশ আপাতত ওই বিতর্কিত ভিডিয়োর বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে। ভিডিয়ো কাণ্ডে পুলিশ যাবতীয় নথি ও তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। যাতে সমস্ত প্রমাণ একজোট করে বাকি আরও অভিযুক্তদের নাম একত্রিত করা যায়। পুলিশ জানিয়েছে হরিদ্বারের কোতওয়ালি পুলিশ স্টেশনের এক সাব ইন্সপেক্টর পদের এক অফিসারকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

হরিদ্বারের কোতওয়ালি পুলিশ স্টেশনে এই বিদ্বেষমূলক বার্তা ঘিরে ইতিমধ্যএই ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ১৫৩ এর ‘A’ ধারার মামলা রুজু হয়েছে। ডিসেম্বরের ১৭ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলা এই ধর্মসংসদে বক্তাদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো ও উস্তানিমূলক বক্তব্য পেশ করা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে পুলিশ।

বিতর্কিত ভিডিয়ো ক্লিপেয়ে বক্তব্য উঠে এসেছে, তাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে টার্গেট করে আপত্তিকর বক্তব্য রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সংখ্যাললধুদের উদ্দেশেও রয়েছে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য। এদিকে বিষয়টি নিয়ে উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা ইতিমধ্যেই ত্যাগী এবং অন্যান্য অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছি।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, যত তদন্ত এগিয়ে যাবে, ততই এই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নাম সামনে আসতে থাকবে। এদিকে, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেন কড়া পদক্ষেপ করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন পদক্ষেপ করতে পারে? যার উত্তরে ডিজিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন, ‘আইন অনুযায়ী আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে এরই মাঝে হরিদ্বারের অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ এই বিদ্বেষমূলক বক্তব্যেক কড়া নিন্দা করেছে। আখাড়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘সনাতন ধর্ম ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য ও অন্য ধর্মকে সম্মানের কথা বলে। এই ধর্ম কখনওই হিংসা ছড়ায় না।’  একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি ধর্ম সংসদে কোনও ধর্মকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.